Advertisement
২২ জানুয়ারি ২০২৫
Myanmar's Rakhine

‘অবিলম্বে মায়ানমার ছাড়ুন’, রাখাইনের পরিস্থিতি খারাপ হতেই ভারতীয় নাগরিকদের পরামর্শ মোদী সরকারের

মায়ানমারের রাখাইনে সহিংসার ঘটনা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের নাগরিকদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। মায়ানমারের এই প্রদেশ গত দেড় দশক ধরে বিদ্রোহের আগুনে পুড়ছে।

MEA Advise to indian that leave Myanmars Rakhine as soon as Posible

অশান্ত মায়ানমারের রাখাইন। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:০৮
Share: Save:

ফের অশান্ত হয়ে উঠল মায়ানমারের রাখাইন। বিদ্রোহের আগুনে জ্বলছে সে দেশের এই রাজ্য। নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন সেখানকার মানুষ। এমন অবস্থায় দেশের নাগরিকদের রাখাইনে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। শুধু তা-ই নয়, দেশের নাগরিকদের রাখাইন ছাড়ার কথা বলে বিবৃতি জারি করা হয়েছে।

মায়ানমারের রাখাইনে হিংসার ঘটনা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের নাগরিকদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘রাখাইনে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ল্যান্ডলাইন-সহ গোটা টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ধ্বংস হয়ে পড়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবের কারণে চাহিদা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় নাগরিকদের রাখাইনে ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হচ্ছে।’’

সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, ‘‘যে সব ভারতীয় নাগরিক ইতিমধ্যেই রাখাইনে রয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে ওই রাজ্য ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’’ পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠার আগেই দেশের নাগরিকদের নিরাপদে ভারতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে মোদী সরকার।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়ানমারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে বার বার বিদ্রোহ হয়েছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী এবং মায়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে। নভেম্বর থেকে সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নয়া জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

তার পর থেকেই ভারতের সীমান্তবর্তী মায়ানমারের বেশ কয়েকটি অঞ্চল অশান্ত হয়ে উঠেছে। যার প্রভাব মণিপুর এবং মিজোরামের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পড়েছে। যা ভারতের কাছে অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মায়ানমারের সামরিক বাহিনী তার বিরোধীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে। জানা গিয়েছে, রাখাইন রাজ্যের রামরি শহরের রামরি বিমানঘাঁটি থেকেই হামলার ছক কষা হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন মায়ানয়ারের সাধারণ মানুষ। প্রাণ বাঁচাতে এক প্রদেশ থেকে আর এক প্রদেশ ছুটে বেড়াচ্ছেন তাঁরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Myanmar Myanmar Army MEA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy