প্রতীকী ছবি।
গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে এক দফা গাড়ির দাম বাড়িয়েছে তারা। তবু আর বাড়ানো হবে না, এমনটা বলছে না দেশের বৃহত্তম গাড়ি সংস্থা মারুতি-সুজ়ুকি। বরং সংস্থা সূত্রের ইঙ্গিত, যন্ত্রাংশ তৈরির কাঁচামালের খরচ জুলাই-সেপ্টেম্বরে যে ভাবে নজিরবিহীন উচ্চতা ছুঁয়েছে, তাতে গাড়ি তৈরির পেছনে অনেক বেশি টাকা ঢালতে হচ্ছে। যার কিছুটা ক্রেতাদের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে গাড়ির দাম ঠিক করতে পণ্যের দরের ওঠানামার উপরে কড়া নজর রাখছে সংস্থা।
সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, এ বছরের শুরুতে মারুতি-সহ বহু সংস্থা গাড়ির দাম বাড়িয়েছিল। সেপ্টেম্বরে আরও এক দফা বেড়েছে। ফের পরের বছরেও বাড়বে কি? তার উত্তরে সংবাদ সংস্থাকে মারুতি-সুজ়ুকির এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব জানান, গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাণের ক্ষেত্রে মোট খরচের ৭০-৭৫ শতাংশই সাধারণত হয় কাঁচামালের পিছনে। জুলাই-সেপ্টেম্বরে নিট বিক্রির নিরিখে তা ৮০.৫% ছুঁয়েছে। তাঁর দাবি, সেপ্টেম্বরে ১.৯% দাম বাড়ানো হয়েছে গাড়ির। তাতে কাঁচামালের বর্ধিত দাম চাপানো হয়নি। এখন খুব সতর্ক ভাবে পরিস্থিতিতে নজর রাখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে পণ্যের দর কোন দিকে যায়। সেই বুঝে সিদ্ধান্ত হবে।
শশাঙ্কের দাবি, ইস্পাত কেজিতে ৩৮ টাকা থেকে বেড়ে ৭২ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। তামা টনে ৫২০০ ডলার (প্রায় ৩,৮৪,৮০০ টাকা) থেকে বেড়ে ১০,৪০০ ডলার (প্রায় ৭,৬৯,৬০০ টাকা) পর্যন্ত চড়েছে। প্রায় তিন গুণ পর্যন্ত উঠেছে প্যালাডিয়াম, প্ল্যাটিনাম, রোডিয়ামের মতো দামি ধাতুর দরও। তাঁর মতে, দর এখনও চড়া। সামান্য আশা জাগিয়ে শুধু গত দু-এক সপ্তাহে দাম অল্প কমতে দেখা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy