পুতিন-জিনপিং ‘মিত্রতা’ নিয়ে কটাক্ষ আমেরিকার। ছবি: রয়টার্স।
রাশিয়া এবং চিনের মৈত্রীর সম্পর্ককে ‘সুবিধাবাদ’ বলে কটাক্ষ করল আমেরিকা। শুধু তা-ই নয়, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের এই কাছে আসার চেষ্টাকে জোট নয়, ‘বিয়ে’ বলে ব্যঙ্গও করেছে জো বাইডেনের প্রশাসন। মঙ্গলবার আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বায়ক জন কিরবি এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমি এটাকে (রাশিয়া চিনের পারস্পরিক বোঝাপড়া) জোট বলতে চাই না। এটা আসলে সুবিধার জন্য দুই দেশের বিয়ে।” আমেরিকার প্রভাবিত ন্যাটো গোষ্ঠীর পাল্টা, বিশ্বে আর একটি শক্তিজোট গঠনের চেষ্টা করছে রাশিয়া এবং চিন। মঙ্গলবার এমনই দাবি করেছে আমেরিকা।
সম্প্রতি মস্কোয় গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে দুই দেশের মধ্যে একাধিক বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার সরকারি গণমাধ্যম। যুদ্ধ থামাতে জিনপিং তাঁর পরিকল্পনার কথাও পুতিনকে জানিয়েছেন। যদিও পরিকল্পনা রূপায়িত না হওয়ার জন্য আমেরিকা এবং পশ্চিমি শক্তিবর্গকেই দুষেছেন পুতিন। আমেরিকার মতে, পুতিন এখন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একঘরে। তাই অস্তিত্বরক্ষার জন্যই তিনি চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আরও একবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে আমেরিকা জানিয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদকে সব দেশেরই মেনে চলা উচিত। প্রকারান্তরে আমেরিকা এ-ও বুঝিয়ে দিয়েছে যে, অন্য দেশের (ইউক্রেন) সার্বভৌমত্ব নষ্ট করে রাশিয়াই সনদে উল্লিখিত শর্ত লঙ্ঘন করেছে। জিনপিং যখন রাশিয়ার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিচ্ছেন, সে সময় হঠাৎই দিল্লি থেকে ইউক্রেনে পৌঁছন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা। ইউক্রেনের ধৈর্য, সহিষ্ণুতা এবং সাহসের প্রশংসা করে তিনি সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy