বাংলাদেশের কাশিমপুর কারাগার। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে জেলের দেওয়াল টপকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়ে গিয়েছেন বলে খবর। গাজিপুরের কাশিমপুর কারাগারে মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বন্দিরা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে, ওই বিক্ষোভের সময়েই জেলের দেওয়াল টপকে অনেক বন্দি পালিয়ে যান। তাঁদের রুখতে গুলি চালান কারা কর্তৃপক্ষ। সেই গুলিতে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন তিন জন জঙ্গিও। তবে অধিকাংশ বন্দি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।
সরকার পড়ে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে নৈরাজ্য চলছে। এই মুহূর্তে দেশে কোনও সরকার নেই। বৃহস্পতিবার মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দেশের সেনাপ্রধান। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কাশিমপুর কারাগারে বন্দিদের বিক্ষোভ শুরু হয়। মুক্তির দাবিতে কারা কর্তৃপক্ষের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, বন্দি জঙ্গিরাও বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাকে খবর দেওয়া হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যেরা কাশিমপুরে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে তত ক্ষণে বেশ খানিকটা দেরি হয়ে গিয়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেলের অন্দরে বিক্ষোভ চলাকালীন কারাগারের দরজার বাইরে জড়ো হয়েছিলেন বন্দিদের আত্মীয়েরা। একটি গুদামে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি ক্রমে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল। এই অস্থির পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বন্দিরা কারাগারের দেওয়াল টপকাতে শুরু করেন। কেউ মই ব্যবহার করে দেওয়াল টপকে বেরিয়ে যান। কেউ আবার দেওয়াল ভেঙে ফেলেন।
কারা কর্তৃপক্ষের উপরেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বাঁচতে তাঁরা গুলি চালান। তাতেই ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন হলি আর্টিজান মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া তিন জঙ্গিও। তাঁরা হলেন মহম্মদ জিন্নাহ, আসলাম হোসেন মোহন এবং আফজাল হোসেন। এঁদের মধ্যে আফজাল মৃত্যুদণ্ড পেয়েছিলেন। এ ছাড়াও কারারক্ষীদের গুলিতে এক জন খুনের আসামি এবং দু’জন ছিনতাইয়ের আসামির মৃত্যু হয়েছে। সেনাবাহিনী কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy