গ্যাস পাইপ ফেটে দুর্ঘটনা। ছবি রয়টার্স।
পাঁচতলা আবাসনে গ্যাস বিস্ফোরণ। ইউক্রেন নয়, রাশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে সাখালিন দ্বীপে। অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চারটি শিশু রয়েছে। বিষয়টি সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখছে না রুশ প্রশাসন।
টাইমোভস্কোই গ্রামের ওই বাড়িটি বেশ পুরনো, ১৯৮০-র দশকে ইট দিয়ে তৈরি করা। বিস্ফোরণে ভেঙে পড়েছে বাড়িটির একাংশ। অঞ্চলের গভর্নর ভ্যালেরি লিমারেঙ্কো বলেন, ‘‘ন’জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে চারটি শিশু রয়েছে।’’ প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, কোনও ভাবে গ্যাসের পাইপ থেকে গ্যাস বেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কোনও কিছুকেই সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ রাখা হচ্ছে না।
রাশিয়া আজ অভিযোগ করেছে, তাদের ১০ জনেরও বেশি যুদ্ধবন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইউক্রেন। এর একটি ভিডিয়োও ছড়িয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, রুশ সেনারা একটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন। তাঁদের হাত মাথার উপরে তোলা। মাথা নিচু করে শুয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হল তাঁদের। ওই ভিডিয়ো ফুটেজ থেকে অনুমান করা হচ্ছে, সকলকে মেরে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ইউক্রেনের পূর্ব লুহানস্ক অঞ্চলের মাকিভকা গ্রামের। তবে এলাকা বা ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে কেউ-ই জোর দিয়ে জানাতে পারেনি।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘রুশ সেনাকর্মীদের এমন নির্মম ভাবে হত্যার ঘটনা এই প্রথম নয়। ওদের একমাত্র যুদ্ধপরাধও নয়। ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী এ ধরনের কাজ করেই থাকে। কিভ সরকারও এই অপরাধকে সমর্থক করে। পশ্চিমি শক্তিগুলি এই সব দেখতেই পায় না।’’ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আরও দাবি করেছে, ভিডিয়ো ফুটেজ থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে ওদের খুন করা হয়েছে। রুশ মুখপাত্র বলেন, ‘‘এ রকম প্রতিটি যুদ্ধপরাধের জন্য ইউক্রেনকে কাঠগড়ায় তোলা হবে।’’
উল্লেখযোগ্য, রাশিয়ার বিরুদ্ধে হুবহু একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে ইউক্রেনেরও। যুদ্ধবন্দিদের হত্যা, নির্মম অত্যাচারের একাধিক ছবি, ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে ইউক্রেনে। রুশ হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। হাজার হাজার প্রাণহানি। একের পর এক জ্বালানি কেন্দ্রে রুশ হামলায় প্রবল শীতে বিদ্যুৎহীন ইউক্রেনের বড় অংশ। আজই ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল জানিয়েছেন, দেশের অন্তত ৪৩৭টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে যুদ্ধে। জখম হয়েছে ৮৩৭টি শিশু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy