গলায় সাপ জড়িয়ে যাত্রী। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
পরিবহণ কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন, সার্জিকাল মাস্কই পরতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই। কেউ যদি বাড়িতে তৈরি মাস্ক পরেন, বা রুমাল কি ব্যান্ডানাকে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করেন, আপত্তি নেই।
সোমবার জনৈক যাত্রী এই ‘স্বাধীনতা’কে আর একটু বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। সুইন্টন থেকে ম্যাঞ্চেস্টারের বাসে সহযাত্রীরা কেউ কেউ তাঁকে দেখে ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো একটা চটকদার ছাপাই বড় রুমাল জড়িয়ে রেখেছেন গলায়, মুখে। দেখতে অবিকল সাপের চামড়ার মতো। তার পর আবিষ্কার করা গেল, রুমালের লেজটা জানলার রেলিংয়ে ঝুলছে এবং নড়ছে। ভদ্রলোকেরও কোনও তাপউত্তাপ নেই, লেজের মালিকেরও না। সত্যি বলতে কী, এই সর্পাবরণী দেখে বাসের লোকে মূর্ছা গিয়েছেন, এমনও ঘটেনি। যাঁর সাপ, তিনি গলায় জড়াবেন কি মুখে প্যাঁচাবেন, তাঁর ব্যাপার— এই রকমই ভাব বেশির ভাগের।
কিন্তু গ্রেটার ম্যাঞ্চেস্টার পরিবহণ কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাপারটা আইনের গেরো হয়ে দাঁড়াল। জ্যান্ত সাপ নিয়ে বাসে উঠেছেন কেন মশাই— এ প্রশ্ন তাঁরা করছেন না। তাঁদের বিলেতি বিচার অতি সূক্ষ্ম! সেটা হল, সাপকে ‘মাস্ক’ হিসেবে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া যায় কি না! তাঁদের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘সাপের চামড়া দিয়ে তৈরি মাস্ক চলতে পারে, এমন তো আমরা বলিনি। বিশেষ করে সে চামড়া যখন সাপের গায়ে লেগে আছে, এমতাবস্থায় তো নয়ই।’’ অর্থাৎ তাঁদের কথার মর্মার্থ দাঁড়াচ্ছে, করোনা যে সাপে ভয় পায়, এমন তো প্রমাণ হয়নি। তত দিন অবধি মাস্কই পরতে হবে, সাপ দিয়ে মুখ ঢাকা যাবে না!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy