স্ত্রীকে খুনের পর দেহ ওয়ারড্রোবে রাখেন ওই যুবক। প্রতীকী ছবি।
বিয়ের ১ মাসের মধ্যে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। খুনের পর দেহ বাড়ির ওয়ারড্রোবে লুকিয়ে রাখলেন অভিযুক্ত। পরে অবশ্য নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ঘটনাটি বাংলাদেশের দিনাজপুরের ঘাষিপাড়া এলাকার। শনিবার বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২০ জানুয়ারি সুমাইয়া আক্তার নামে ২৭ বছরের এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মানোয়ার হোসেন নামে ৩৩ বছরের এক যুবকের। দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। বিয়ের পর ওই দম্পতি ঘাষিপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
বিয়ের পর ওই মহিলা তাঁর প্রাক্তন স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। এই নিয়েই সুমাইয়া এবং মানোয়ারের মধ্যে গোলমালের সূত্রপাত। শুক্রবার তাঁদের দাম্পত্য কলহ চরম পর্যায়ে মোড় নেয়। রাগের বশে সুমাইয়ার শ্বাসরোধ করে খুন করেন বলে জেরায় জানিয়েছেন মানোয়ার।
পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের পর স্ত্রীর দেহ প্রথমে বাড়ির ওয়ারড্রোবে লুকিয়ে রেখেছিলেন ওই যুবক। পরে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ দিনাজপুর কোতয়ালি থানায় গিয়ে খুনের কথা নিজেই স্বীকার করেন তিনি। মানোয়ারের কথা শুনে তাঁর বাড়িতে যায় পুলিশের একটি দল। ওয়ারড্রোব থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর স্ত্রীর দেহ। ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy