—প্রতীকী চিত্র।
ছেলের স্কুলের হোমওয়ার্কের পরিমাণ দেখে বিরক্ত হয়েছিলেন বাবা। ঠিক করেছিলেন, প্রিন্সিপালকে ফোন করে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নালিশ করবেন। ছেলেকে দেওয়া হোমওয়ার্কের পরিমাণ দেখিয়ে কোনও একটা ব্যবস্থা নিতে বলবেন। দেখা গেল, হোমওয়ার্ক নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়ে ‘শাস্তি’ পেলেন অভিভাবকই। তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল পুলিশ।
ঘটনাটি আমেরিকার ওহায়োর। সেখানকার কার্মার এলিমেন্টারি স্কুলের এক ছাত্রের বাবা অ্যাডাম সিজ়মোর। পুলিশ তাঁকেই গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে তাঁর বাড়ি থেকে। সংবাদ মাধ্যম ‘টুডে ডট কম’ অ্যাডামের সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এ ব্যাপারে। তাতেই প্রকাশ্যে এসেছে গোটা ঘটনাটি।
পুলিশকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সিজ়মোর প্রথমে ছেলের স্কুলের প্রিন্সিপাল জেসন মার্জ়কে ফোন করে পদক্ষেপ করতে বলেন। প্রিন্সিপাল জেসন তাঁর কথা না শোনায়, তিনি জেসনকে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এ-ও বলেছেন, স্কুলের তরফে সিজ়মোরের ফোন ধরা বন্ধ করে দেওয়া হলেও তিনি ফোন করেই চলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, স্কুল থেকে কোনও রকম সাড়া না পেরে সিজ়মোর স্থানীয় অক্সফোর্ড থানায় ফোন করতে শুরু করেন। এক ঘণ্টায় ১৮বার ফোন করেছিলেন তিনি। পরে একটি ভয়েস মেসেজে রাগত কণ্ঠস্বরে সিজ়মোরকে বলতে শোনা যায়, এর পর তিনি আর ফোন করবেন না। পুলিশ প্রধানকেই তাঁর বাড়িতে এসে দেখা করে যেতে হবে।
অক্সফোর্ড থানার তরফে বলা হয়েছে, গোটা ব্যাপারটাই একটু বিরক্তিকর ছিল। স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্নও ঘটাচ্ছিল। তা ছাড়া সিজ়মোরের সন্তান কে-৫-এর ছাত্র। তাঁকে এমন কিছু মাত্রা ছাড়া হোমওয়ার্কও দেওয়া হয়নি, যা নিয়ে এত বড় কাণ্ড বাধিয়ে ফেলতে হবে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্য দিকে, সিজ়মোরের যুক্তিস ‘‘আমি একজন একা বাবা। আমার একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে আছে। তাদের বড় করার পথে আমার যেটা ভাল মনে হয়েছে, আমি সেটাই করেছি।’’ তবে গ্রেফতার হওয়ার পর বোধোদয় হয়েছে সিজ়মোরের। পরোক্ষে ভুল স্বীকার করে তিনি বলেছেন, ‘‘মানুষ মাত্রই তো ভুল হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy