বেলারুসের প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার লুকাশেঙ্কো। ছবি: সংগৃহীত।
কোথায় ওয়াগনার নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন! শেষ খবর ছিল, সেনা-বিদ্রোহ থামিয়ে বেলারুসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বেলারুসের প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে শোনা গিয়েছিল। এর দু’দিন পরে প্রিগোঝিনের একটি অডিয়ো-বার্তা প্রকাশ্যে এসেছিল। তাতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনি বিদ্রোহ করেননি, রুশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মাত্র। কিন্তু সে দিনও জানা যায়নি, প্রিগোঝিন কোথায়। আজ লুকাশেঙ্কো দাবি করেছেন, ‘নির্বাসনে পাঠানো’ সত্ত্বেও ওয়াগনার নেতা রাশিয়াতেই আছেন, বেলারুসে নেই। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা জানেন না প্রিগোঝিন কোথায়। তিনি বলেন, ‘‘ওঁর গতিবিধি আমাদের জানা নেই। আমাদের সেই ক্ষমতা নেই, ইচ্ছাও নেই।’’
দু’সপ্তাহ হয়ে গেল রাশিয়ার সেনা-বিদ্রোহের ঘটনার। ভ্লাদিমির পুতিনেরই ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু হঠাৎই বিদ্রোহ থামিয়ে বেলারুসের উদ্দেশে রওনা দেন ওয়াগনার নেতা প্রিগোঝিন। কেন পিছু হটেছিলেন তিনি, আজও জানা যায়নি। লুকাশেঙ্কো ওয়াগনার বাহিনী ও রুশ সরকারের মধ্যে শান্তি সমঝোতা করলেও তিনি কী বুঝিয়েছিলেন, তা-ও অজানা। তা ছাড়া কেনই বা বেলারুসে গেলেন প্রিগোঝিন, তা-ও রহস্য থেকে গিয়েছে। বিদ্রোহ থামার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেননি প্রিগোঝিন। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আদৌ বেঁচে আছেন তো ওয়াগনার নেতা? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন গত দেড় বছরে এমন বহু ‘রহস্যমৃত্যু’ ঘটেছে রাশিয়ায়। কেউ চলন্ত নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছেন, কেউ আচমকাই আত্মহত্যা করেছেন। প্রিগোঝিনের কী হল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের উপদেষ্টা অ্যান্টন গেরাশচেঙ্কো বলেন, ‘‘এটা একদিকে ভালই, যিনি তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন, তাঁর খবর রুশ প্রশাসন রাখছে না। তা হলে উনি কোথায়?’’
ইতিমধ্যে রাশিয়ার সরকারি সংবাদ মাধ্যমে প্রিগোঝিন-সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি ও খবর প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। তাতে দেখানো হয়েছে, বিদ্রোহের ঘটনার পরে প্রিগোঝিনের প্রাসাদ ও অফিসে হানা দিয়েছিল রুশ পুলিশ। সেখানে তারা প্রিগোঝিনের একাধিক ভুয়ো পাসপোর্ট, পরচুলো পরা নানা ধরনের ছদ্মবেশের ছবি পেয়েছে।
কূটনীতিকদের বক্তব্য, রাশিয়া যতই অস্বীকার করুক, তারা ঠিকই জানে প্রিগোঝিন কোথায়। তারা শুধু বোঝাতে চাইছে, প্রিগোঝিন বা ওয়াগনার গ্রুপ নিয়ে আর তাদের মাথাব্যথা নেই। যুদ্ধ বিশ্লেষকদের একাংশের বক্তব্য, ‘‘এমনও হতে পারে কিছু দিন বাদে সেনা-বিদ্রোহের খবরই অস্বীকার করবে রাশিয়া।’’
আজ ইউক্রেনকে বিতর্কিত ক্লাস্টার বোমা দিয়ে সাহায্য করার কথা ঘোষণা করে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে আমেরিকার জো বাইডেন প্রশাসন। তবে আমেরিকা তার নিজস্ব সর্বশেষ রাসায়নিক অস্ত্রটি নষ্ট করে ফেলেছে বলে রিপাবলিকান সেনেটর মিট ম্যাককনেল জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy