Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Britain

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে লিজ ট্রাস, একাধিক সমস্যা বরিসের উত্তরসূরির সামনে

ইংল্যান্ডে জ্বালানির দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। ব্রিটেনের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যের সংস্থান করতে হলে আসন্ন শীতে ঘর গরম করার বন্দোবস্ত করা সম্ভব হবে না।

ঋষি সুনক এবং লিজ ট্রাস - ফাইল চিত্র।

ঋষি সুনক এবং লিজ ট্রাস - ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
লন্ডন শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:০৫
Share: Save:

ঋষি সুনককে টপকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেলেন লিজ ট্রাস। এক মাসব্যাপী ভোটদান প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে শুক্রবারই। সোমবার চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে। তবে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি (টোরি)র সূত্রে জানা যাচ্ছে, অপ্রত্যাশিত কিছু না ঘটলে বরিস জনসনের পর ১০, ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হতে চলেছেন ট্রাসই।

একের পর এক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হওয়ার পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হন কনজারভেটিভ পার্টির নানা নেতা। বরিস মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে শুরু করেন একের পর এক মন্ত্রী। কার্যত চাপের মুখে পদত্যাগ করতে রাজি হন বরিস। তার পরই কনজারভেটিভ দলের নতুন প্রধান এবং দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী খুঁজে নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। একাধিক পদপ্রত্যাশীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার শেষ ধাপে আসেন দু’জন— বরিস মন্ত্রিসভার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রাস। একাধিক প্রকাশ্য জনসভায় এবং টেলিভিশন বিতর্কে পরস্পরের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হতে দেখা গিয়েছে দু’জনকে। নির্বাচনের প্রাথমিক পর্বে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনক এগিয়ে থাকলেও, ক্রমশ ব্যবধান কমাতে থাকেন লিজ ট্রাস।

শুক্রবার বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ-পর্ব শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত ট্রাসের দিকেই পাল্লা ভারী থাকছে। কনজারভেটিভ পার্টির প্রায় দু’লক্ষ সদস্য ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন। ট্রাস বা সুনক প্রধানমন্ত্রী পদে যিনিই বসুন, তাঁর সামনে একাধিক প্রতিকূলতা থাকছে।

ইংল্যান্ডে জীবনধারণের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। জ্বালানির দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। ব্রিটেনের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যের সংস্থান করতে হলে আসন্ন শীতে ঘর গরম করার বন্দোবস্ত করা সম্ভব হবে না। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বজুড়েই জ্বালানির দামকে আকাশছোঁয়া করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাস কর-ছাঁটাইয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও, তাতে গরিব মানুষের কোনও উপকার হবে না বলে জানাচ্ছে তাঁর দলের একাংশই। এই পরিস্থিতিতে সংস্কারের পথেই হাঁটতে পারেন ব্রিটেনের ভাবী প্রধানমন্ত্রী। একদা ব্রেক্সিটের বিরোধিতা করা ট্রাসই হয়ত দল এবং দেশের তরফে ব্রেক্সিট-পরবর্তী সংস্কারের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Britain Rishi Sunak Liz Truss
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy