এই বিলের বিরোধিতা করেও বহু মানুষকে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে। ছবি: রয়টার্স।
সমকামী মানুষদের বিয়ের বৈধতা নিয়ে তোলপাড় দেশ। তাঁদের বিয়ে করার দাবিকে মান্যতা দেওয়া হবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সেই আবহেই মঙ্গলবার উগান্ডার আইনসভা বিল পাশ করে জানিয়ে দিল, রূপান্তরকামী বলে চিহ্নিত হলে কড়া শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। ইতিমধ্যেই সে দেশের রূপান্তরকামী মানুষরা যত্রতত্র আইনি বৈষম্য এবং হিংসার মুখোমুখি হচ্ছেন। তার মধ্যেই এই নতুন আইন পাশ হওয়ার পর তাঁদের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, উগান্ডার আইনসভা পাশ হওয়া বিতর্কিত বিলে বলা হয়েছে, রূপান্তরকামী বা এলজিবিটিকিউ হওয়া অপরাধ। এ রকম কাউকে চিহ্নিত করা গেলে তাঁকে ১০ বছর জেলে যেতে হতে পারে। সমকামীদের যৌন সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গেলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। সমকামিতা বা রূপান্তরকামিতার প্রচারকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই দেশে।
উগান্ডা-সহ আফ্রিকার ৩০টিরও বেশি দেশে ইতিমধ্যেই সমকামিতা নিষিদ্ধ। কিন্তু এই প্রথম রূপান্তরকামীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য বিল পাশ করল উগান্ডা।
এই বিল পাশ করার পর উগান্ডার আইনসভার সদস্য ডেভিড বাহাতি বলেছেন, ‘‘যা হয়েছে তাতে আমাদের স্রষ্টা ঈশ্বর খুশি। আমি আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করার জন্য বিলটিকে সমর্থন করি।’’
ডেভিডের মতো সে দেশের অনেকেই এই নয়া আইনের সমর্থন করে কথা বলছেন। তাঁদের মতে, রূপান্তরকামিতা রক্ষণশীল এবং ধর্মীয় আফ্রিকান ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধকে আঘাত করে। আর সেই কারণেই রূপান্তরকামীদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
তবে এই বিলের বিরোধিতা করেও বহু মানুষকে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে।
এই বিল আইনে রূপান্তর করার জন্য শীঘ্রই উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওওয়েরি মুসেভেনির কাছে পাঠানো হবে। মুসেভেনি এই নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও তিনি দীর্ঘ দিন ধরে রূপান্তরকামীদের অধিকারের বিরোধিতা করে এসেছেন।
এই মাসেই উগান্ডার জিনজা জেলার এক জন স্কুল শিক্ষককে ‘অস্বাভাবিক যৌন চর্চা করে অল্পবয়সি ছেলেদের মেয়ে সাজানোর’ অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy