Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

জল্পনায় ইতি টানতে ইস্তফা ব্রিটিশ দূতের

এ বছরের শেষে অবসর নেওয়ার কথা ছিল ডারোখের। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে আজ হাউস অব কমন্সে বলেছেন, ‘‘স্যার কিম ডারোখ তাঁর সারা জীবনের পরিশ্রম উজাড় করে দিয়েছেন ব্রিটেনকে।

ইস্তফা দিলেন আমেরিকায় নিযুক্ত ব্রিটেনের দূত কিম ডারোখ। ছবি এএফপি।

ইস্তফা দিলেন আমেরিকায় নিযুক্ত ব্রিটেনের দূত কিম ডারোখ। ছবি এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৯ ০৩:২৪
Share: Save:

বিতর্কের মুখে শেষ পর্যন্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আমেরিকায় নিযুক্ত ব্রিটেনের দূত কিম ডারোখ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘অদক্ষ’ ও ‘অযোগ্য’ বলেছিলেন তিনি। গোপন কেব্‌ল-এর সেই সব কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় কূটনৈতিক টানাপড়েন তৈরি হয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেনের মধ্যে। গত কাল টুইটে ট্রাম্প ব্রিটিশ দূতকে ‘নির্বোধ’ বলতেও ছাড়েননি। ব্রিটেনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে তাঁর পাশে দাঁড়ালেও সব মিলিয়ে ক্রমশই কোণঠাসা হচ্ছিলেন ডারোখ। এই অবস্থায় আজ তিনি বলেছেন, সব রকম জল্পনায় ইতি টানতে তাঁর সরে যাওয়াই শ্রেয়। তা ছাড়া কেব্‌ল ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তাঁর পক্ষে ঠিক ভাবে কাজ করাই ‘অসম্ভব’ হয়ে পড়েছে।

ব্রিটেনের বিদেশ দফতরের শীর্ষস্থানীয় অফিসার সাইমন ম্যাকডোনাল্ডের কাছে জমা দেওয়া ইস্তফাপত্রে ডারোখ লিখেছেন, ‘‘আমেরিকায় লন্ডনের দূতাবাস থেকে সরকারি নথি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর থেকে আমার পদ ঘিরে নানাবিধ জল্পনা চলছে। আমার মেয়াদের বাকি দিনগুলো দূতের পদে থাকা উচিত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আমি সে সবে দাঁড়ি টানতে চাই। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে আমার কাজটাই ঠিকমতো করে উঠতে পারছি না।’’ ম্যাকডোনাল্ড জবাবে ডারোখকে জানিয়েছেন, ‘কেব‌্‌ল ফাঁসের জেরেই নিশানা করা হল আপনাকে। আপনি আমাদের এক জন সেরা কর্মী।’

এ বছরের শেষে অবসর নেওয়ার কথা ছিল ডারোখের। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে আজ হাউস অব কমন্সে বলেছেন, ‘‘স্যার কিম ডারোখ তাঁর সারা জীবনের পরিশ্রম উজাড় করে দিয়েছেন ব্রিটেনকে। তাঁর কাছে আমরা অসম্ভব ঋণী। সরকারি কর্মীদের বিস্তারিত এবং খোলাখুলি মতামত সরকারেরই কাজে সাহায্য করে। আমাদের সব কর্মীরই এমন আত্মবিশ্বাস থাকুক, যাতে তারা এ ভাবে কাজ করতে পারেন। আর যখন তাঁরা এ ধরনের চাপের মুখে কাজ করতে বাধ্য হন, আমাদের হাউসও যেন মূল্যবোধ এবং রীতি মেনে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারে।’’ ডারোখ সরে যাওয়ায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী জেরেমি হান্টও। তিনি বলেছেন, ‘‘লন্ডনের মন্ত্রীদের তিনি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সব কিছু জানাতেন। বিদেশমন্ত্রী হিসেবে আমি যত বার ওয়াশিংটনে গিয়েছি, কিমের দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তায় মুগ্ধ হয়েছি। ওঁর রিপোর্ট এ ভাবে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আমি ক্ষুব্ধ।’’

বস্তুত, ডারোখের মন্তব্য ব্যক্তিগত বলে হান্ট প্রাথমিক ভাবে মার্কিন প্রশাসনের সামনে কূটনৈতিক সৌজন্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্ত গত কাল ট্রাম্প যখন টুইটে টেরেসা ও ডারোখকে বিশ্রী ভাবে আক্রমণ করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জবাব দিয়েছেন হান্ট। তিনি বলেছেন, ‘‘বন্ধুরা স্পষ্ট কথা বলে, আমিও তাই বলব। (আপনার) এই ধরনের মন্তব্য আমাদের দেশ এবং আমার দেশের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অপমানজনক।’’ ডারোখের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের বিরোধী নেতা জেরেমি করবিনও।

অন্য বিষয়গুলি:

Kim Darroch UK USA Ambassador
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE