গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
সাত দশক আগে ভারতের অরণ্য থেকে হারিয়ে যাওয়া চিতাকে ‘ফিরিয়ে এনেছেন’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারি খাতায় ১৯৫২ সালে ‘বিলুপ্ত’ ঘোষিত এশীয় চিতার ‘শূন্যস্থান’ পূরণের জন্য নামিবিয়া থেকে আনা হয়েছে আফ্রিকার চিতা। এ বার মোদী সরকারের সেই কর্মসূচি অনুকরণ করছে একদা সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ কাজাখস্তান। ৭০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বাঘ ফেরাতে রাশিয়ার দ্বারস্থ হচ্ছে তারা।
বিংশ শতকের গোড়ায় কাজাখস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছিল কাস্পিয়ান উপপ্রজাতির বাঘের (প্যান্থেরা টাইগ্রিস টাইগ্রিস) বসবাস। কিন্তু শিকার এবং বসতি ধ্বংসের কারণে তারা লুপ্ত হয়ে যায়। ২০০৩ সালে বিশ্ব থেকেই বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এই উপপ্রজাতির বাঘটিকে। তাই বিকল্প হিসেবে এ বার কাজাখস্তান সরকার রাশিয়া থেকে সাইবেরিয়ান (আমুর) উপপ্রজাতির বাঘ আনার জন্য আলোচনা শুরু করেছে। এ বিষয়ে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে
আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ সংস্থা ডব্লিউডব্লিউএফ-এর রাশিয়ার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গ্রেগরি মাজমনিয়ান্টস জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগেই এ বিষয়ে কাজাখস্তান সরকারের তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। এর পর সাইবেরিয়ার বাঘেদের পুনর্বাসনের জন্য ইলি নদীর অববাহিকা এবং বলকাশ হ্রদের তীরভূমির দু’টি বনাঞ্চল বেছে নেওয়া হয়। বাঘ পেতে রাশিয়ার সঙ্গে ‘মউ’ সইও করে কাজাখস্তান। কিন্তু তার পর কাজ এগোয়নি। সম্প্রতি নতুন করে এ বিষয়ে তৎপর হয়েছে কাজাখ সরকার।
আফ্রিকার চিতাদের ভারতের জলবায়ুতে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সুযোগ দিতে প্রাথমিক ভাবে মধ্যপ্রদেশের পালপুর-কুনো বনাঞ্চলের একটি তারের জালে ঘেরা অঞ্চলে রাখা হয়েছে। সাইবেরিয়ার বাঘেদের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি নেওয়া হবে। পাশাপাশি, তাদের খাদ্যের সংকুলান করার জন্য গত কয়েক বছরে ওই দুই বনাঞ্চলে বুনো শুয়োর এবং বুখারা হরিণের সংখ্যাবৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রেগরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy