নরেন্দ্র মোদী
কাঠুয়ায় গণধর্ষণ ও খুন নিয়ে দিনভর বিক্ষোভ হয়েছে লন্ডনে। এমনকী, কাঠুয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যে সব সংগঠন, তাদের ‘ভারত কি বাত....সব কে সাথ’ অনুষ্ঠানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। আজ সেই অনুষ্ঠানেই কাঠুয়ার নাম না করে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে বোঝাতে চাইলেন, নাবালিকা ধর্ষণ নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। প্রসঙ্গত, দেশে বিরোধীরা পরিসংখ্যান দিয়ে বলে, বিজেপি-শাসিত রাজ্যেই নারী ও শিশুকন্যা নির্যাতনের ঘটনা দেশের মধ্যে সব চেয়ে বেশি।
আজ লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার সেন্ট্রাল হলের মঞ্চে সঞ্চালক ছিলেন সেন্সর বোর্ডের প্রধান প্রসূন জোশী। কার্যত কোনও অস্বস্তিকর প্রশ্নই ছিল না। বিরোধীদের দাবি, সমর্থকদের নিয়ে পুরোপুরি সাজানো অনুষ্ঠান করা হয়েছে। সেই অনুকূল পরিবেশেই হঠাৎ নাবালিকা ধর্ষণ নিয়ে মুখ খুললেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘‘বাচ্চা মেয়েকে ধর্ষণের চেয়ে ভয়ানক আর কী হতে পারে? তবে আমাদের জমানায় এমন ঘটনা বেশি হয়েছে না অন্যদের জমানায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলাও লজ্জাজনক।’’ তাঁর কথায়, ‘‘মেয়ে দেরি করে বাড়ি ফিরলে মা প্রশ্ন করেন কোথায় গিয়েছিলে। রাতে ফোনে কথা বললে প্রশ্ন করেন কার সঙ্গে কথা বলছ। ছেলেরা দেরি করে ফিরলে প্রশ্ন করা উচিত কোথায় ছিলে।’’ হল তখন ফেটে পড়ছে হাততালিতে।
আরও পড়ুন: মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, মিছিল থেকে অভিযোগ লকেটের
ঘটনাচক্রে এ দিনই, অমেঠীর এক শিশুকন্যা দীপালির ভিডিয়ো টুইট করেছেন রাহুল গাঁধী। লিখেছেন, ‘‘দীপালির কাছে আমাদের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে। সে বোঝাতে চায়, সুখের অশ্রু, দুঃখের অশ্রুর মধ্যে কোনও তফাত নেই।’’ রাহুল পরোক্ষে নাবালিকাদের অবস্থা নিয়েই খোঁচা দিতে চেয়েছেন বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা।
বিদেশের মাটি থেকে রাহুলের নাম না করে আরও খোঁচা দিয়েছেন মোদী। বলেছেন, ‘‘আমি দারিদ্রের কথা বই পড়ে শিখিনি।’’ পরে হাসতে হাসতে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সব সময় কটূক্তি করতে একটা লোক চাই তো। সে দায় আমিই নিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy