অভিনন্দন: মন্ট্রিয়লে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে স্ত্রী সোফি। মঙ্গলবার। এএফপি
ইঙ্গিত ছিল, তিনি আর জিততে পারবেন না। পিছনে ছিল অনেক বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তা হয়নি। পার্লামেন্টে সরকার গড়ার মতো সংখ্যা তাঁর ঝুলিতে না গেলেও দ্বিতীয় বারের জন্য কানাডার জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মঙ্গলবার ভোটের ফলাফল সম্পূর্ণ না এলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০০৭ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে করমর্দনের ও ভারত সফরে ভারতীয় পোশাকে ট্রুডো পরিবারের সঙ্গে নিজের ছবি টুইট করেছেন। লিখেছেন, ‘‘ভারত-কানাডা উভয়েই গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদে বিশ্বাসী। কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করে তোলার অপেক্ষায় রয়েছি।’’
জাস্টিনের লিবারাল পার্টি ৩৩৮ আসনের হাউস অব কমন্সে পেয়েছে ১৫৭টি আসন। একক ভাবে সরকার গড়তে হলে পেতে হত আরও ১৩টি আসন। জয়ের আঁচ পেয়েই ট্রুডো বলেছেন, ‘‘বিভাজন ও নেতির রাজনীতি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এই রায় উন্নততর প্রকল্প এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপের পক্ষে।’’
আর যাঁরা তাঁর দলকে সমর্থন করেননি, তাঁদের উদ্দেশে ট্রুডোর বার্তা, ‘‘আমরা প্রতিটি দিন আপনাদের জন্য লড়ে যাব। সকলের জন্য সরকার চালাব।’’
লিবারাল পার্টি একক গরিষ্ঠতা না-পাওয়ায় কোনও একটি বিরোধী দলের উপরে নির্ভর করতে হবে। ট্রুডোর প্রতিদ্বন্দ্বী কনজ়ারভেটিভ পার্টির নেতা অ্যান্ড্রু শিয়ার অনেকটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ভোট পূর্ববর্তী সমীক্ষায়। কানাডায় টানা প্রায় ১০ বছর কনজ়ারভেটিভ পার্টির শাসনের পরে ২০১৫ সালে ট্রুডো লিবারালদের জমানা ফিরিয়ে আনেন। পরে বেশ কিছু বিতর্ক তৈরি হয় ট্রুডোকে নিয়ে। জনপ্রিয়তা কিছুটা হলেও ধাক্কা খায়। হাওয়া ঘোরাতে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর হয়ে প্রচারে নামেন। কানাডীয়দের তিনি বোঝান, ট্রুডোকেই দরকার। কারণ তিনি উন্নয়নে বিশ্বাসী। তবে বিরোধী শিয়ারের দাবি, ২০১৫ সালে যা-ই হয়ে থাক, এ বার অনেকটাই কোণঠাসা ট্রুডো। প্রধানমন্ত্রীকে শিয়ার বলেছেন, ‘‘আপনার সরকার যখন পড়ে যাবে, কনজ়ারভেটিভরা তৈরি থাকবে। আমরাই জিতব তখন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy