E-Paper

ঢাকায় গভীর রাতে মুক্তি সাংবাদিকের

মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক হিসেবে পরিচিত মুন্নীকে গত কাল রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকায় ঘেরাও করে জনতা।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:০৮
Share
Save

জনতার হাতে হেনস্থা। পরে পুলিশি হেফাজত। শেষ পর্যন্ত গভীর রাতে হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশি সাংবাদিক মুন্নী সাহা।

মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক হিসেবে পরিচিত মুন্নীকে গত কাল রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকায় ঘেরাও করে জনতা। স্থানীয় সূত্রে খবর, জনতার মধ্যে ছিল হেফাজতে ইসলামের অনেক সদস্য। ওই ঘটনার ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, মুন্নীর বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের বাংলাদেশ রাইফেলসের বিদ্রোহ নিয়ে ভুল খবর প্রচারের অভিযোগ করছে জনতা। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে আর এক ব্যক্তি দাবি করে, ‘‘এ দেশকে ভারতের অংশ করার জন্য সব রকম চেষ্টা করছেন আপনি। আপনার হাতে ছাত্রদের রক্ত লেগে রয়েছে। এ দেশের নাগরিক হয়ে এ দেশের ক্ষতি করছেন কী ভাবে?’’ জবাবে মুন্নীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘আমি কী ভাবে ক্ষতি করেছি? এটা আমারও দেশ।’’

শেষ পর্যন্ত মুুন্নীকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় ঢাকা পুলিশ। বাহিনীর কর্তা রেজ়াউল করিম মালিক বলেন, ‘‘জনতাই ওঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আতঙ্কে উনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শারীরিক অবস্থা দেখে ও উনি মহিলা সাংবাদিক বলে আমরা ওঁকে মুক্তি দিয়েছি।’’

ঢাকা পুলিশ জানিয়েছে, হাসিনা-বিরোধী আন্দোলনের সময়ে এক ছাত্রের মৃত্যু সংক্রান্ত মামলা রয়েছে মুন্নীর বিরুদ্ধে। তাঁকে আদালতে জামিন নিতে ও পুলিশের সমন মেনে চলতে বলা হয়েছে।

কিন্তু অনেকের মতে, বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সরকার-বিরোধীদের অবস্থা সম্পর্কে এই ঘটনা নতুন ভাবে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

অন্য দিকে বাংলাদেশে ত্রিপুরার বাসিন্দা ফতেমা খাতুন নামে এক মহিলাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর স্বামী সাদেক মিয়াঁ সোনামুড়া থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন, ফতেমা কুমিল্লা জেলায় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। কিন্তু বিবিরবাজার ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়।

সাদেক জানান, তাঁদের আত্মীয়ের সঙ্গে স্থানীয় কয়েক জনের বিবাদ হয়। তাঁর স্ত্রী আতঙ্কিত হয়ে ভারতে পালিয়ে আসার চেষ্টা করেন। সাদিকের দাবি, বিবিরবাজার চেকপোস্ট থেকে তাঁকে ১০-১২ জন অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে বলে স্ত্রী তাঁকে ফোনে জানান। তার পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। রাতে সাদিক জানিয়েছেন, বিএসএফ এই ঘটনার কথা বিজিবি-কে জানায়। বিজিবি ফতেমাকে উদ্ধার করেছে। রাতে তিনি বাড়ি ফিরেছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Release police Custody journalist Reporter

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।