Advertisement
E-Paper

বাধ্যতামূলক ভাবে যোগ দিতে হবে সেনায়! বিদ্রোহী দমনে নতুন কৌশল নিল মায়ানমারের জুন্টা সরকার

সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদান এড়াতে মায়ানমারের তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ এ বার দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন বলে সে দেশের গণতন্ত্রপন্থীরা আশঙ্কা করছেন।

বিদ্রোহী মোকাবিলায় তৎপর মায়নমার সেনা।

বিদ্রোহী মোকাবিলায় তৎপর মায়নমার সেনা। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:২৫
Share
Save

শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহীদের অগ্রগতি রুখতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নীতি নিল মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকার। সে দেশের ‘সক্ষম’ নাগরিকদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করে জারি হল সরকারি নির্দেশিকা।

সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদান এড়াতে মায়ানমারের তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ এ বার দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন বলে সে দেশের গণতন্ত্রপন্থীরা মনে করছেন। প্রসঙ্গত, গত বছর ইউক্রেন যুদ্ধে সেনার ঘাটতি মেটাতে পুতিনের সরকার ‘বাধ্যতামূলক যোগদান’ নীতি ঘোষণার পরেই রুশ যুবকদের একাংশ পোল্যান্ড, হ্যাঙ্গেরির মতো প্রতিবেশী দেশগুলিতে পাড়ি দিয়েছিল।

গত নভেম্বর থেকে সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নয়া জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ১০২৭’। পরবর্তী সময়ে জুন্টা-বিরোধী যুদ্ধে শামিল হয় ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ), পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)।

মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’, জুন্টা বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’ বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। থাইল্যান্ডে নির্বাসিত মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নাগরিকদের পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ‘ইরাবতী’ খোলাখুলি ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-এর পক্ষে প্রচার করছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মদতপুষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠী ‘দ্য ইউনাইটেড ওয়া স্টেট পার্টি’ (ইউডব্লিউএসপি) ইতিমধ্যেই কয়েকটি প্রদেশে সমান্তরাল সরকার চালানোও শুরু করে দিয়েছে।

বস্তুত, রাজধানী নেপিডো, প্রধান শহর ইয়াঙ্গন এবং আরও কিছু বড় জনপদ-শিল্পাঞ্চলেই এখন সেনার গতিবিধি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে খবর। কিন্তু এখনও বিদ্রোহীরা দেশ দখল করতে পারবে না বলেই মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের যুক্তি, দেশের বড় জনপদগুলিতে মূলত সংখ্যাগুরু বামার জনগোষ্ঠীর বাস। তাঁদের বড় অংশ জুন্টার সমর্থক। প্রভাবশালী বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও এখনও জুন্টার পাশে রয়েছেন। অন্য দিকে, মূলত প্রান্তিক এলাকার জনজাতি গোষ্ঠীগুলি রয়েছে বিদ্রোহীদের জোটে। কিন্তু সেনাতে বাধ্যতামূলক যোগদানের নীতি বামার জনগোষ্ঠীর মধ্যেই জুন্টার সমর্থনে ‘ফাটল’ ধরাতে পারে বলে আশঙ্কা।

Myanmar Myanmar Violence Myanmar Army

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।