ছবি: রয়টার্স।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছেছিলেন জো বাইডেন। কিন্তু তাঁর সেই জনপ্রিয়তা ধাক্কা খেল আফগান নীতির কারণে। এক ধাক্কায় বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমেছে ৪৩ শতাংশ। যা আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের জনপ্রিয়তার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বলেই দাবি করা হচ্ছে।
মেরিস্ট ন্যাশনাল পল নামে একটি সংস্থা সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালায় আমেরিকানদের মধ্যে। আফগানিস্তান থেকে সেনা তুলে নেওয়ার পর থেকেই বাইডেনের ভূমিকা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আমেরিকার সমাজ। বাইডেন ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নাকি এটা করা উচিত হয়নি, এ নিয়েই সমীক্ষা চালিয়েছে মেরিস্ট পল। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরিকানই বাইডেনের বিদেশনীতির বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। সমাজের একটা বড় অংশ আবার এটাকে আমেরিকার ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছেন।
৫৬ শতাংশ আমেরিকান যেমন বাইডেনের বিদেশনীতিকে দায়ী করেছেন, তখন আবার ৬১ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা তোলা উচিত হয়নি আমেরিকার। প্রায় ৭১ শতাংশ মানুষ আবার এই ঘটনাকে ‘আমেরিকার ব্যর্থতা’ বলে মনে করেছেন।
তবে ৬১ শতাংশ মানুষ আবার জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করেন আমেরিকার সাহায্য ছাড়াই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়া প্রয়োজন আফগানিস্তানের। তবে ২৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে সামলানো আমেরিকার ‘কর্তব্য’।
আফগানিস্তানে পরিস্থিতি কী ভাবে সামলানো উচিত ছিল আমেরিকার? এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৩৭ শতাংশ মানুষ সেনা ফিরিয়ে নিয়ে আসাকে সমর্থন করেছেন। ৩৮ শতাংশ বলেছেন, কিছু সেনা আফগানিস্তানে রাখা উচিত ছিল। ১০ শতাংশ বলেছেন, সেনা সরিয়ে নেওয়া একেবারেই উচিত হয়নি। ৫ শতাংশ বলেছেন আফগানিস্তানে আরও সেনা পাঠানো উচিত।
বাইডেনের বিদেশনীতির বিরুদ্ধে মত দিলেও আমেরিকানরা এর জন্য সম্পূর্ণ ভাবে তাঁকে দায়ী করেননি। এর জন্য আমেরিকানদের একটা বড় অংশই (৩৬%) জর্জ বুশের সেনা অভিযানের ‘ব্যর্থ’ নীতিকেই দায়ী করেছেন। ২১ শতাংশ দায়ী করেছেন জো বাইডেনকে, ১৫ শতাংশ বারাক ওবামাকে এবং ১২ শতাংশ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy