ফাইল চিত্র।
কোভিড-আবহেই আগামী মাসে ক্যাপিটল হিলে শপথ নিতে চলেছেন জো বাইডেন ও তাঁর সহকারী কমলা হ্যারিস। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান যাতে করোনা-সংক্রমণের আড়ত না-হয়ে ওঠে তার জন্য আগে থেকেই চূড়ান্ত সতর্ক ভাবী প্রেসিডেন্টের টিম।
টিম বাইডেনের পক্ষ থেকে গত কাল প্রথম বারের জন্য শপথগ্রহণ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন অনুষ্ঠানের এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর মাজু ভার্গিস। প্রথমেই তিনি জানিয়ে রেখেছেন, সংক্রমণ বাঁচিয়ে কী ভাবে সুষ্ঠু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়, সেটাই তাঁদের সামনে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
২০ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের পশ্চিমাংশে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন বাইডেন। তার জন্য ইতিমধ্যেই মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দেশ-বিদেশ থেকে যে সব নিমন্ত্রিত অতিথি এই অনুষ্ঠান দেখতে আসেন, তার তালিকা এ বার একেবারে কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। আমেরিকার সাধারণ মানুষের কাছে ইতিমধ্যেই আর্জি জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন প্রত্যেকে এ বার বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বসে টিভিতে শপথ-অনুষ্ঠান দেখেন। কিন্তু ভাবনা-চিন্তা চলছে প্যারেড নিয়ে। এই শপথ-অনুষ্ঠানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন স্তরের মানুষ প্যারেডে অংশ নেন। কিন্তু এ বার করোনা-সংক্রমণের আশঙ্কায় বাইডেন-হ্যারিস আর্জি জানিয়েছেন, অন্য প্রদেশ থেকে আমেরিকার মানুষ যেন রাজধানীতে না আসেন। ওয়াশিংটনের কয়েকটি বড় রাস্তায় কী ভাবে ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে প্যারেড করা যায়, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে বলে জানিয়েছেন ভার্গিস।
আরও পড়ুন: নদীতে নামল ‘কচ্ছপের সুনামি’, ভাইরাল ভিডিয়ো
রীতি অনুযায়ী, বিদায়ী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে চা খেয়ে শপথ নেন নতুন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এ বার তা হবে কি না, তা জানা নেই টিম বাইডেনের। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ অনুষ্ঠানে আসবেন কি না, তা-ও তাঁরা জানেন না। ট্রাম্প গত রবিবার তাঁর পছন্দের এক আমেরিকান টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘এ নিয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাই না।’’ তবে ইলেক্টোরাল কলেজের ঘোষণার পরেও এই নির্বাচনের ফলাফল যে তিনি এখনও মানছেন না, তার ইঙ্গিত মিলেছে। গত কালই হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কেলি ম্যাকেনানি রুটিন সাংবাদিক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট এখনও নির্বাচনী ফলাফল সংক্রান্ত মামলা নিয়ে ব্যস্ত।’’
আরও পড়ুন: করোনার উৎস খুঁজতে জানুয়ারিতে চিনে যাবে হু-র তদন্তকারী দল
তবে শুধু শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানই নয়, করোনা আবহে নতুন প্রেসিডেন্টের যে কোনও প্রশাসনিক কাজ করাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে টিম বাইডেন। চূড়ান্ত গোপনীয়তার কারণে হোয়াইট হাউসে বেশির ভাগ জনপ্রিয় ভিডিয়ো লিঙ্কই কাজ করে না। সরকারি কর্মীদেরও নানা ধরনের সতর্কতা মেনে কাজ করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে বাইডেনের পক্ষে গোপন ও স্পর্শকাতর নানা বিষয়ে ভিডিয়ো বৈঠক সারাটাও কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছাড়লে গোটা ভবনটি ভাল করে স্যানিটাইজ় করা হবে বলে প্রশসানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কারণ ট্রাম্প-সহ বিদায়ী প্রশাসনের অনেক কর্তা-ব্যক্তিই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনা বিষয়ক দেশের মুখ্য পরামর্শদাতা তথা প্রবীণ চিকিৎসক অ্যান্টনি ফাউচি জানিয়েছেন, অবিলম্বে বাইডেন ও হ্যারিসকে কোভিডের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে তার দিন ক্ষণ এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy