Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
US Presidential Election

বাইডেনকে সরানোর ভাবনা শুরু তাঁরই পরিবারে! ঘরে-বাইরে চাপের মুখেও হাল ছাড়তে নারাজ প্রেসিডেন্ট

ডেমোক্র্যাটদের জয় নিশ্চিত করেও শেষ মুহূর্তে কী ভাবে বাইডেনকে সরানো যায়, তার ছক কষছে বাইডেন পরিবার। প্রার্থী বদল করলেও তার প্রভাব যাতে ভোটবাক্সে না পড়ে, তা নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩৭
Share: Save:

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখনও ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। আগামী নভেম্বরে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আমেরিকায়, সেখানে তাঁরই লড়ার কথা রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেই বাইডেনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। এমনকি, আমেরিকার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দাবি, বাইডেনের পরিবারই চাইছে না, তিনি ভোটে লড়াই করুন। শারীরিক ভাবে বাইডেন সম্পূর্ণ সুস্থ নন বলে দাবি অনেকের। ফলে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী শেষ মুহূর্তে বদলে যেতে পারে। বাইডেনের বিকল্পের সন্ধান চলছে ডেমোক্র্যাট শিবিরে।

সূত্রের খবর, আমেরিকায় বাইডেনের পরিবারের মধ্যেই তাঁকে সরানোর ভাবনাচিন্তা চলছে। ডেমোক্র্যাটদের জয় নিশ্চিত করেও শেষ মুহূর্তে কী ভাবে বাইডেনকে সরানো যায়, তার ছক কষছে বাইডেন পরিবার। প্রার্থী বদল করলে তার প্রভাব যাতে ভোটবাক্সে না পড়ে, তা নিশ্চিত করাই এই মুহূর্তে তাঁদের মূল লক্ষ্য।

অন্য দিকে, দলের মধ্যে থেকেই তাঁকে সরানোর দাবি উঠছে জেনেও বাইডেন অনড়। তিনি এখনও দাবি করে চলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে এবং জিতলে আরও পাঁচ বছর এই দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম। দলের মধ্যে ঐক্য এবং সংহতির ডাক দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তাঁর দাবি, তাঁর স্বাস্থ্যের সম্পর্কে যে রটনা চলছে, তা রিপাবলিকানদের ‘চক্রান্ত’।

বর্তমানে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে বাইডেনের। তিনি গৃহবন্দি রয়েছেন। তবে সুস্থ হয়ে আগামী সপ্তাহেই প্রচারে ফেরার ডাক দিয়েছেন তিনি।

৮১ বছর বয়সি বাইডেনের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ ছিলই। তা সত্ত্বেও এ বারে তাঁকেই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করা হয়েছিল। তবে কিছু দিন আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে অংশ নেওয়ার পরেই তাঁকে প্রার্থিপদ থেকে সরানোর দাবি জোরালো হয়। ওই বিতর্কসভায় বাইডেনের আচরণ অসংলগ্ন ছিল বলে দাবি। তাঁর কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল। ট্রাম্পের একাধিক বক্তব্যের বিরুদ্ধে সঠিক যুক্তিও সাজাতে পারেননি তিনি। বাইডেনের এই দুর্বলতাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ট্রাম্পও। বিতর্কসভার পর থেকে আমেরিকার ভিতরে তো বটেই, বাইরে একাধিক রাষ্ট্রনেতাও বাইডেনের সমালোচনা করেন।

বাইডেন অবশ্য বিতর্কসভার পরের দিনই অন্য একটি সভা থেকে দলের সমর্থকদের নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘আমি আগের মতো কথা বলতে পারি না, আগের মতো তর্ক করতে পারি না, কিন্তু আমি এখনও সত্য কথা বলতে পারি। ভোটে দাঁড়ানোর বিষয়ে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত না হলে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তাম না।’’ তবে বাইডেনের এই নিশ্চয়তায় বিতর্ক থামেনি। শুক্রবারও আমেরিকান কংগ্রেসের বেশ কয়েক জন ডেমোক্র্যাট সদস্য প্রকাশ্যে তাঁর বদল চেয়েছেন।

বাইডেনকে শেষ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরানো হলে তাঁর বিকল্প হিসাবে উঠে এসেছে একাধিক নাম। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামারা দৌড়ে আছেন। শেষ পর্যন্ত বাইডেনকে পদ ছাড়তে হয় কি না, তা অবশ্য সময় বলবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy