জেফ বেজোস। ছবি— রয়টার্স।
নিজের সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসারের পদ থেকে সরে যাচ্ছেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। চলতি বছরের শেষের দিকেই ওই পদ ছেড়ে দেবেন বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি। মঙ্গলবার এ কথা নিজেই জানিয়েছেন জেফ। চিফ এগজিকিউটিভের পদে তাঁর জায়গায় বসবেন অ্যান্ডি জ্যাসি। জ্যাসি এখন আমাজনের ওয়েব সার্ভিসের প্রধান হিসাবে কাজ করেন।
আমাজনের ওয়েবসাইটে কর্মীদের উদ্দেশে এক চিঠিতে বেজোস জানিয়েছেন, ‘চিফ এগজিকিউটিভের চেয়ারে বসে আমাজনের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কাজকর্মে ব্যস্ত থেকেছি। বেজোস আর্থ ফান্ড, ব্লু অরিজিন, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এবং আমার বিভিন্ন স্বপ্ন পূরণের জন্য ফান্ডও জোগাড় করেছি। এখন অত উৎসাহ নেই। তবে এটা অবসরও নয়’।
বেজোসের হাত ধরেই ১৯৯৪ সালে শুরু হওয়া স্টার্টআপ সংস্থা আজ বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন খুচরো বিক্রেতা। গত তিনটি ত্রৈমাসিকে আমাজনের বিক্রির পরিমাণ ছিল ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি। যা ওই সংস্থার ইতিহাসে রেকর্ড। করোনাভাইরাস অতিমারিতে জারি হওয়া লকডাউনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যবসা বেড়েছে আমাজনের। শেষ ত্রৈমাসিকে লাভ দ্বিগুন হয়ে ৭২০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। মোট ব্যবসা ৪৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৫৬০ কোটি ডলারের।
১৯৯৪ সালে নিজের গ্যারাজে আমাজন প্রতিষ্ঠা করেন বেজোস। যা এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্ সংস্থা। অনলাইন খুচরো ব্যবসার পাশাপাশি টিভি ও মিউজিক স্ট্রিমিং, দৈনন্দিন জিনিসপত্র, ক্লাউড কম্পিউটিং, রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সহ বিভিন্ন ব্যবসা বেড়েছে আমাজনের। তাঁর পদে বসতে চলা জ্যাসি আমাজনে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৯৭ সালে। ২০০৩ সালে তিনি শুরু করেন আমাজন ওয়েব সার্ভিস। জ্যাসির সম্পর্কে বেজোস বলেছেন, ‘‘সংস্থার খুব পরিচিত মুখ অ্যান্ডি। ওর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। ওর উপর আমার পুরো আস্থা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy