রাজকুমার অ্যান্ড্রু।—ছবি এপি।
মৃত্যুর তিন মাস পরেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না জেফ্রি এপস্টাইনের। বরং একের পর এক নতুন অভিযোগ উঠে আসছে মার্কিন এই ধনকুবেরের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন জেন ডো ১৫ নামে এক মহিলা। অভিযোগ, ২০০৪ সালে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন এপস্টাইন। তখন জেন বছর পনেরোর কিশোরী।
নাবালিকাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, নারী পাচার ও নারীঘটিত অন্যান্য একাধিক মামলায় অভিযুক্ত ৬৬ বছরের জেফ্রি গত অগস্টে জেলবন্দি অবস্থাতেই আত্মহত্যা করেন। গত তিন মাসে জেফ্রির বিপুল সম্পত্তির অধিকার ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে অন্তত ডজন খানেক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন। সেই তালিকাতেই নয়া সংযোজন জেন।
সোমবার লস অ্যাঞ্জেলেসে আইনজীবী গ্লোরিয়া অলরেডকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন জেন। তাঁর দাবি, দরিদ্র পড়ুয়াদের সাহায্য করতেন জেফ্রি। সে কথা জানতেন তিনি। ২০০৪ সালে নিউ ইয়র্কে জেফ্রির সচিবের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। তখন তাঁর বয়স ১৫। জেফ্রির তরফে পড়ুয়াদের জন্য আয়োজিত একটি কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পান জেন। এর পরে জেনের মতো আরও কয়েক জন নাবালিকাকে নিজের ব্যক্তিগত বিমানে চাপিয়ে নিউ মেক্সিকোর খামারবাড়িতে নিয়ে যান জেফ্রি। অভিযোগ, সেখানে জেনকে প্রথমে ম্যাসাজ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার পরেই তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন জেফ্রি।
এই প্রসঙ্গে ব্রিটেনের রাজকুমার অ্যান্ড্রু-সহ জেফ্রি ঘনিষ্ঠদের মুখ খোলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন জেন। যদিও ‘ডিউক অব ইয়র্কের’ বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু বিপদ বেড়েছে অ্যান্ড্রুর। উদ্যোগপতিদের উৎসাহ দিতে তাঁর পিচ@প্যালেস প্রকল্পে আর টাকা ঢালবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে স্পনসর সংস্থা কেপিএমজি। কেন এই সিদ্ধান্ত সে বিষয়ে কেপিএমজি মুখে কুলুপ আঁটলেও সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা জেফ্রির সঙ্গে অ্যান্ড্রুর বন্ধুত্বকেই এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে।
তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে জেফ্রির সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা স্বীকার করেছেন রানির তৃতীয় সন্তান অ্যান্ড্রু। তাঁর বিরুদ্ধে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ এনেছিলেন ভার্জিনিয়া রবার্টস ওরফে ভার্জিনিয়া জুফ্রে নামে এক মার্কিন মহিলা। অভিযোগ ছিল, দু’দশক আগে জেফ্রির বাড়িতে নাবালিকা ভার্জিনিয়ার সঙ্গে বার তিনেক যৌন সংসর্গ করেছিলেন অ্যান্ড্রু। ইতিমধ্যে ভার্জিনিয়ার কোমর জড়িয়ে রাজকুমারের একটি ছবিও প্রকাশ্যে আসায় সমালোচনা তুঙ্গে ওঠে। সাক্ষাৎকারে জেফ্রির সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা স্বীকার করলেও ভার্জিনিয়ার সঙ্গে যৌন সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অ্যান্ড্রু। এমনকি এই নামের কাউকে মনে করতে পারছেন না বলেই মন্তব্য তাঁর। তবে বিতর্ক থামেনি। সোমবার সন্ধ্যায় হাডার্সফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদ থেকে অ্যান্ড্রুর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। রাজকুমারের সাহায্যপ্রাপ্ত একটি সংস্থা জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি তাঁরা বোর্ড মিটিং ডাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy