প্রেমিকের সঙ্গে ই়জ়রায়েলি মডেল নোয়াম মাজ়েল বেন-ডেভিড। ছবি: সংগৃহীত।
হামাসের হামলা থেকে রক্ষা পেতে সহায় হয়েছিল প্রেমিকের লাশ! এমনই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ইজ়রায়েলের এক মডেল। একটি সংবাদমাধ্যম ওই মডেলকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, হামাসের হামলা থেকে বাঁচতে মরার অভিনয় করতে হয়েছিল ওই তরুণীকে। এমনকি নিহত প্রেমিকের দেহের নীচেও লুকিয়ে পড়তে হয় তাঁকে। উপস্থিত বুদ্ধির জোরে প্রাণে বেঁচে ফিরলেও, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই মডেল।
গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানে যখন স্থানীয়রা জড়ো হয়েছিলেন, সেই সময় অতর্কিতে হামলা চালায় প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সেই সময় ওই সঙ্গীতানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইজ়রায়েলি মডেল নোয়াম মাজ়েল বেন-ডেভিড। ২৭ বছর বয়সি ওই তরুণীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর প্রেমিকও। সকাল সাড়ে ৬টার সময় তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরণের শব্দ পান। কিন্তু তার পর ওই জায়গা থেকে পালাতে গিয়ে আটকে পড়েন তাঁরা।
ওই তরুণীর কথায়, “আমরা গাড়ি নিয়ে ওই জায়গা থেকে দ্রুত পালাতে চাইছিলাম। কিন্তু বেরোনোর সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল ওরা। এক জন নিরাপত্তারক্ষী এসে চিৎকার করে আমাদের বলল, প্রাণ বাঁচাতে হয় তো পালাও।” তার পরের অভিজ্ঞতা আরও ভয়ঙ্কর। বন্দুকবাজদের গুলি থেকে বাঁচতে প্রেমিকের সঙ্গে একটি ডাস্টবিনে আশ্রয় নেন ওই মডেল। কিন্তু এক আততায়ী তাঁর প্রেমিককে দেখতে পেয়ে বুক লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কিন্তু প্রেমিকের দেহের নীচে এক জন মৃতের মতো পড়ে থাকায় তরুণীকে না মেরেই চলে যায় ওই আততায়ী। তবে পায়ে এবং হাতে চোট লাগার কথা জানিয়েছেন ওই মডেল।
পরে আক্রান্ত তরুণীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ইজ়রায়েলি সেনা। প্রসঙ্গত, সে দিনের হামাস হামলায় ২৫০ জনের মৃত্যু হয়। আরও প্রায় ২৫০ জনকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি করে ইজ়রায়েল। ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি জানিয়েছেন, পণবন্দিদের মুক্তি না দেওয়া হলে গাজ়া ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার বিষয়ে উদ্যোগী হবেন না তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy