পরিবারের সঙ্গে খুদে ওহাদ। ছবি: রয়টার্স।
দূর থেকে পরিবারের সদস্যদের দেখতে পেয়ে নিজের আনন্দকে আর ধরে রাখতে পারেনি। আত্মহারা হয়ে ছুটে গিয়েছিল সে। এ যেন এক মহামুক্তির স্বাদ। হবেই না বা কেন! গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে হামলা চালিয়ে প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস অপহরণ করেছিল দুশো জনেরও বেশি মানুষকে। অপহৃতদের মধ্যে ছিল ওই খুদে, তার মা এবং ঠাকুমা।
ইজ়রায়েলের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই খুদের নাম ওহাদ। তাঁর মা কেরেন এবং ঠাকুমা রুতি মুন্দেরকে অপহরণ করেছিল হামাস। শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ইজ়রায়েল এবং হামাসের মধ্যে। চার দিনের জন্য আপাতত এই চুক্তি হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। শুক্রবার থেকেই এই প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যেই রবিবার পর্যন্ত দু’তরফ থেকেই তিন দফায় বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। রবিবার তাইল্যান্ডের চার নাগরিক-সহ ১৭ জনকে মুক্তি দিয়েছে তারা। সেই দলে ছিল ওহাদ, তার মা এবং ঠাকুমা।
স্নাইডার চিলড্রেন্স মেডিক্যাল সেন্টার ওহাদদের মুক্তির এবং পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলনের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ওই মেডিক্যাল সেন্টারে সন্তান, স্ত্রী এবং মায়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ওহাদের বাবা। সঙ্গে ছিল ওহাদের দাদাও। হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ওহাদদের ওই মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। সেই পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন হয় তাঁদের। বাবা, দাদুকে দেখেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে ছুটে যায় ওহাদ। তার দাদা রয় জিকরির এক সংবাদ সংস্থাকে বলে, “ওদের ফিরে পেয়ে আমরা খুশি। তবে আমরা চাই প্রত্যেককেই মুক্তি দেওয়া হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy