গাজ়া সীমান্তের কাছেই নতুন বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা করছে ইজ়রায়েল। ইজ়রায়েলের দক্ষিণ প্রান্তে এই নতুন বিমানবন্দর তৈরিতে ইতিমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে সে দেশের অর্থনৈতিক কমিটি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস যে অঞ্চলে হামলা চালিয়েছিল, সেখান থেকে এটির দূরত্ব খুব বেশি নয়।
ইজ়রায়েলের দক্ষিণে নেভটিম শহরে এই বিমানবন্দরটি তৈরির কথা ভাবছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন। গাজ়া সীমান্ত থেকে এই শহরের দূরত্ব মাত্র ৬৫ কিলোমিটার। সড়কপথে এক ঘণ্টার রাস্তা। বিমানবন্দরটি যেখানে তৈরির কথা ভাবছে ইজ়রায়েলি প্রশাসন, তার পাশেই রয়েছে একটি সামরিক ঘাঁটিও। নেগেভ মরুভূমির উপর সামরিক ঘাঁটিতে রয়েছে ইজ়রায়েল বায়ুসেনার এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। নতুন বিমানবন্দর তৈরির জন্য বিলটি আপাতত ইজ়রায়েলের পার্লামেন্টের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
২০২৩ সালে হামাস গোষ্ঠীর ওই হামলার পরে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন নেতানিয়াহু। যুদ্ধে মহিলা এবং শিশু-সহ বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি কাতার, আমেরিকা এবং মিশরের উদ্যোগে ইজ়রায়েল এবং হামাস সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়। প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ফুরিয়েছে ১ মার্চ। দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আলোচনা হয়নি দুই পক্ষের। এরই মধ্যে গাজ়া ভূখণ্ডে সম্প্রতি নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইজ়রায়েলি বাহিনী, পাল্টা হামলা চালাচ্ছে হামাসও।
আরও পড়ুন:
এই উত্তেজনার আবহে গাজ়া সীমান্তের কাছে নতুন বিমানবন্দর তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে ইজ়রায়েলের সরকার। ইজ়রায়েলের প্রধান বিমানবন্দর হিসাবে দেখা হয় বেন গুরোঁ বিমানবন্দরকে। বছরে চার কোটি যাত্রী যাতায়াত করার মতো ব্যবস্থা রয়েছে ওই বিমানবন্দরে। কিন্তু, ২০৫০ সালের মধ্যে ওই বিমানবন্দরে আট কোটি যাত্রীর চাপ আসতে পারে। সেই কারণে বিকল্প বিমানবন্দর হিসাবে আরও কিছু নতুন বিমানবন্দর তৈরির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তার মধ্যে একটি হল গাজ়া সীমান্তবর্তী এই শহরে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ার কারণে এই নতুন বিমানবন্দর তৈরিতে আপত্তি জানিয়েছিল ইজ়রায়েলের সামরিক বাহিনী। তবে শেষ পর্যন্ত এটিতে অনুমোদন দিয়ে পার্লামেন্টে পাশ করাতে উদ্যোগী হয়েছে নেতানিয়াহুর প্রশাসন।