হামাসের বিরুদ্ধে ‘আয়রন বিম’-এর ব্যবহার শুরু করল ইজ়রায়েল। ছবি: সংগৃহীত।
হামাসের রকেট এবং মর্টার হামলা ঠেকাতে এ বার যুদ্ধের ময়দানে ‘মহাঅস্ত্র’-কে কাজে লাগানো শুরু করল ইজ়রায়েল। সে দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আকাশপথে হামাসের হামলা ঠেকাতে শক্তিশালী ‘লেজ়ার পয়েন্ট ডিফেন্স সিস্টেম’-কে সক্রিয় ভাবে কাজে লাগাচ্ছে। যে অস্ত্রের নাম ‘আয়রন বিম’। এই শক্তিশালী অস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছিল ইজ়রায়েল। তার মাঝেই সেটিকে যুদ্ধের ময়দানে নামিয়ে দেওয়া হল। একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
গোটা দেশে এই লেজ়ার অস্ত্রকে মোতায়েন করা হয়েছে। দেশের চতুর্সীমানায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে এই ‘আয়রন বিম’। হামাসের গোলা, রকেট এবং মর্টার ইজ়রায়েলের দিকে ছুটে এলেই সঙ্গে সঙ্গে তা আকাশেই ধ্বংস করছে। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, এই অস্ত্রটির পরীক্ষা চালাচ্ছিল ইজ়রায়েল। এখনই এই অস্ত্রের প্রয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। কিন্তু এই যুদ্ধে আবহে হামাসের হামলা ঠেকাতে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হলেও ‘আয়রন বিম’কে গুরুদায়িত্বে মোতায়েন করা হয়েছে। মধ্য ইজ়রায়েলে হামাসের বেশ কয়েকটি রকেট এবং মর্টারকে ধ্বংস করেছে এই লেজ়ার অস্ত্র।
এই লেজ়ার অস্ত্রটি স্বল্পপাল্লার। যাতে কাছের কোনও রকেট, ড্রোন বা গোলাকে ধ্বংস করতে পারে। কিন্তু হামাসের সঙ্গে এই সংঘাতে আয়রন বিম-এর রেঞ্জ বাড়ানো হয়েছে। ফলে অনেক দূরের রকেটও নিমেষে ধ্বংস করছে। এটি একটি ‘ডায়রেক্টেড এনার্জি ওয়েপন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’। ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুর এয়ার শো-তে প্রথম এই শক্তিশালী অস্ত্রটি প্রকাশ্যে এনেছিল ইজ়রায়েল। ৭ কিলোমিটার দূরত্বের কোনও লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁত ভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম এই লেজ়ার অস্ত্র। ‘আয়রন বিম’ থেকে যখন লেজ়ার রশ্মি বেরিয়ে শত্রুপক্ষের রকেট, ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করে, সেই লেজ়ার রশ্মির এক বারের ব্যবহারে খরচ হয় ভারতীয় মুদ্রায় দেড় লক্ষ টাকারও বেশি। এক একটি লেজ়ার ক্ষেপণাস্ত্রের দাম প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। ‘আয়রন বিম’-এ এরবিয়াম, ইয়টরবিয়াম, নিজডিমিয়ম, ডাইস্পোর্সিয়ম, থুলিয়ম এবং হোলমিয়মের মতো ধাতব পদার্থ ব্যবহার করে ফাইবার লেজ়ার সৃষ্টি করা হয়। যা লক্ষ্যবস্তুকে কয়েক সেকেন্ডে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy