আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পরে কূটনৈতিক সক্রিয়তা বেড়েছে তালিবানের। ছবি: সংগৃহীত।
চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের স্বাধীনতাপন্থী উইঘুর মুসলিমদের উপর চিনা ফৌজের অত্যাচারকে সমর্থন জানাচ্ছে তালিবান। এই অভিযোগ তুলে এ বার আফগানিস্তানের নয়া শাসকদের হুঁশিয়ারি দিল ‘ইসলামিক স্টেট খোরাসান’ (আইএসকে)।
উইঘুর মুসলিমদের গণহত্যাকে ‘চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে চিহ্নিত করে তালিবান ‘ইসলামবিরোধী’ কাজ করেছে বলে শুক্রবার আইএস-এর আফগান শাখার তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি, ইরান এবং রাশিয়াও একই ধরনের গণহত্যা চালাচ্ছে বলে সংগঠনের প্রচারশাখা ‘ভয়েস অফ খোরাসান’-এর অভিযোগ। দাবি করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার আশাতেই শিনজিয়াংয়ে মুসলিম গণহত্যায় সমর্থন জানাচ্ছে তালিবান। মুসলিমবিরোধী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
বর্তমান পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের একাংশ নিয়ে ছিল প্রাচীন খোরাসান অঞ্চল। আইএস-এর আফগান শাখা ওই অঞ্চলকে তাদের নামে জুড়ে নিয়েছে। গত কয়েক বছরে একাধিক বার আফগানিস্তানে নানা নাশকতায় আইএস-কের নাম প্রকাশ্যে এসেছে। গত বছর কাবুল বিমানবন্দর এবং একাধিক তালিবান ঘাঁটিতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তারা। মূল সংগঠন আইএস-এর মতোই তাদের লক্ষ্য খিলাফতের (খলিফার শাসন) পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
২০১৪-য় পাক তালিবান নেতা হাফিজ সইদ খান আইএস-কে গঠন করেছিলেন। তৎকালীন আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির অনুগামী হাফিজ ২০১৬-য় আমেরিকার বিমান হানায় নিহত হন। পাক সীমান্ত ঘেঁষা উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের নানগরহর, নুরিস্তান, কুনার প্রদেশ আইএস-কের ঘাঁটি। রাজধানী জালালাবাদ-সহ নানগরহরের বেশ কিছু এলাকাতেই শিবির রয়েছে তাদের। আইএস-কে ধ্বংস করতে ওই এলাকায় একাধিক বার হানা দিয়েছে আমেরিকার ড্রোন। একই উদ্দেশ্যে একাধিক বার অভিযান চালিয়েছে তালিবান বাহিনীও। ঘটনাচক্রে, বুধবার মধ্যরাতে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার অটমে শহরে আমেরিকা সেনার অভিযানে আইএস প্রধান আবু ইব্রাহিম অল-হাশিমি অল-কুরেশির মৃত্যু হয়। তার পরেই সংগঠনের আফগান শাখার এই হুঁশিয়ারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy