ফাইল ছবি
২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ভিডিয়ো ক্লিপ। তাতে দেখা যাচ্ছে পরপর সাজিয়ে রাখা বিদেশি অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গ্রেনেড লঞ্চারও। কোনওটা আমেরিকার তৈরি, কোনওটা ব্রিটেন, পোল্যান্ড, সুইডেনের তৈরি। ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, ইউক্রেনের যে সব অঞ্চল রাশিয়ার দখলে রয়েছে, তেমনই কিছু জায়গা থেকে অস্ত্রগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে এগুলিকে ‘ট্রফি’ বলে উল্লেখ করেছে মস্কো।
বিশেষ সেনা অভিযানে যে অস্ত্র ভান্ডার উদ্ধার করেছে রাশিয়া, তার মধ্যে সোভিয়েত যুগের অস্ত্রও রয়েছে। যেমন কিছু মেশিন গান, ছোট আগ্নেয়াস্ত্র। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে— ‘‘ওই সব ট্রফির বেশির ভাগই বিদেশে তৈরি। হাতে ধরা অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গ্রেনেড লঞ্চারগুলি গ্রেট ব্রিটেন, আমেরিকা, পোল্যান্ড, সুইডেনের তৈরি। জ্যাভেলিন ও কার্ল গুস্তাফ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও ছিল ওই ভান্ডারে। কিছু সোভিয়েত যুগে তৈরি ভারী মেশিন গানও ফেলে পালিয়েছিল ইউক্রেনীয়রা।’’
এর আগে রুশদের থেকে পাওয়া অস্ত্রের ছবি প্রকাশ করেছিল ইউক্রেন। রুশ ট্যাঙ্ক ও যুদ্ধাস্ত্রের সেই সব ছবির কাছে এটি অবশ্য ফিকে। যুদ্ধ বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, ইউক্রেনের যুদ্ধে রুশ সেনাবাহিনী ৫ হাজারেরও বেশি যুদ্ধযান খুঁইয়েছে। তাদের মতে, ও ভাবে অঙ্কের হিসেব করলে রাশিয়ার থেকে অনেক এগিয়ে ইউক্রেন। বলতে হয়, তারা দারুণ সফল হয়েছে। এই ‘সাফল্যের’ অন্যতম কারণ অবশ্যই, ইউক্রেনের পাশে থাকা পশ্চিমের সমর্থন।
এর মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, রুশ অধিকৃত বিচ্ছিন্নতাবাদীপুষ্ট অঞ্চলে গণভোট করতে পারে মস্কো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ায় যোগ দেওয়া নিয়ে ইউক্রেনের ওই সব অঞ্চলে যদি গণভোট হয়, তা মেনে নেবে না ইউক্রেন ও তার মিত্র দেশগুলি। জ়েলেনস্কি বলেন, ‘‘আমাদের দেশের অবস্থান আগেও যা ছিল, এখনও তাই আছে। আমাদের যা ছিল, তার কিছুই আমরা ছাড়ব না। দখলদাররা যদি ছদ্ম গণভোটের আয়োজন করে, তা হলে ইউক্রেন আর রাশিয়ার সঙ্গে কোনও আলোচনায় যাবে না। রাশিয়া জানে, আজ না হলেও কাল ওদের কথা শুরু করতেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy