ছবি সংগৃহীত
হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন শনিবারের মধ্যেই চিনা ভিডিয়ো-অ্যাপ টিকটককে আমেরিকায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করার নির্দেশ দেবেন তিনি। তবে রবিবার সকাল পর্যন্ত এ নিয়ে সই-সাবুদ করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তাঁর হুঁশিয়ারির জেরে সম্ভবত বানচাল হতে চলেছে মাইক্রোসফটের যাবতীয় পরিকল্পনা।
সোমবারের মধ্যে টিকটকের আমেরিকা শাখা কিনে নেওয়ার কথা ছিল বিল গেটসের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির। একটি প্রথম সারির মার্কিন দৈনিক অন্তত তেমনটাই দাবি করেছিল। এ নিয়ে কথাবার্তা প্রায় পাকাই হয়ে গিয়েছিল এক রকম। কিন্তু গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট টিকটক নিষিদ্ধ করার যে হুমকি দেন, তার ফলেই মাইক্রোসফট নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে পারে বলে জানিয়েছে ওই দৈনিকটিই।
গোটা দুনিয়ায় প্রবল জনপ্রিয় এই ভিডিয়ো-অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের না-জানিয়ে তাঁদের তথ্য চুরি করছে বলে কয়েক দিন ধরেই দাবি করে আসছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো। একই অভিযোগ তুলে গত শুক্রবার ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি অবিলম্বে টিকটক নিষিদ্ধ করতে চলেছেন গোটা দেশে।
মার্কিন প্রশাসনের এই অভিযোগ বরাবর খারিজ করে এসেছে টিকটকের মূল সংস্থা বাইটড্যান্স। টিকটকের আমেরিকা শাখার জেনারেল ম্যানেজার ভ্যানিসা পাপ্পাসও তথ্য চুরির অভিযোগ মানতে চাননি। বরং এত দিন যে সব মার্কিন নাগরিক তাঁদের অ্যাপ ব্যবহার করেছেন,
একটি বার্তায় তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। ভ্যানিসা আরও জানিয়েছেন, আগামী তিন বছরে আমেরিকায় ১০ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের সংস্থার। যে দেড় হাজার মার্কিন নাগরিক তাঁদের সংস্থায় কাজ করেন, তাঁদের জন্য ভ্যানিসা গর্বিত বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গেই তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা আমেরিকা ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না।’’
তথ্য চুরির অভিযোগে কোনও সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা উচিত নয় বলে ট্রাম্পকে আক্রমণও করেছেন অনেকে। আমেরিকায় সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনজীবী জেনিফার গ্র্যানিক যেমন মনে করেন, যে কোনও অ্যাপই ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে অবশ্যই নজর রাখা উচিত। তবে এ ভাবে কোনও জনপ্রিয় অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা বাক্ স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ারই শামিল বলে মনে করেন জেনিফার।
গোটা দুনিয়ায় একশো কোটির কাছাকাছি মানুষ টিকটকে ভিডিয়ো শেয়ার করেন। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গ-বিদ্রুপও শুরু হয়েছে। এক মার্কিন তরুণী যেমন নিজের মুখে ইট আর কমলা রং লাগানোর একটি ভিডিয়ো বানিয়ে লিখেছেন, ‘‘টিকটক রেখে দেওয়ার জন্য ট্রাম্পকে বোঝানোর চেষ্টায় আমি।’’ ইটের মাধ্যমে মেক্সিকো সীমান্তের দেওয়াল এবং কমলা রঙের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের গায়ের চামড়াকে ব্যঙ্গ করেছেন ওই তরুণী। তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ সেই ভিডিয়ো দেখে ফেলেছেন ইতিমধ্যে।
তবে এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ব্যবসা হংকং বা সাংহাইয়ের মতো শহরে নথিভুক্ত করাতে চাইছে টিকটক। সংস্থার বেশ কিছু আধিকারিকের বক্তব্য, এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তাঁরা সাংহাইয়ের বদলে হংকংকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy