আমাজ়নের উপরের ছবিটি অক্টোবরের। নীচের ছবিটি জুলাইয়ের। ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বের দীর্ঘতম নদী আমাজ়ন কি শুকিয়ে যাচ্ছে? সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া নদীর আগের এবং এখনকার গতিপথের ছবি প্রকাশ করে এমনই দাবি করা হচ্ছে। যদিও ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
নিউজ়উইক-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমাজ়নের সবচেয়ে বড় শাখানদী রিও নিগ্রোর জলস্তর ক্রমশ কমছে। প্রতি দিন ২০ সেন্টিমিটার (৮ ইঞ্চি) করে সেই জলস্তর কমছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই জলস্তর কমে যাচ্ছে? রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর আমাজ়নে যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা, উল্লেখযোগ্য ভাবে সেই হার কমেছে। গড় বৃষ্টি যা হয়, তা-ও কমেছে।
আমাজ়ন ওয়ার্কিং গ্রুপ-এর দাবি, আমাজ়নে জলের ধারা কমতে থাকায় নদী সংলগ্ন যে সব জনপদ রয়েছে, সেগুলি খরার মুখে পড়তে পারে। ওই গ্রুপের দাবি, ইতিমধ্যেই এ রকম ৬২টি জনপদের মধ্যে ৫৯টিতে খরা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তার মধ্যে ১৫টির অবস্থা খুবই খারাপ। সার্গিয়ো ফ্রেরিয়ার এক এক্স গ্রাহক রিও নিগ্রোর দু’সময়ের ছবি প্রকাশ করেছেন। একটি জুলাইয়ের। অন্যটি অক্টোবরের শুরুর দিকের। তিনি লিখেছেন, “দু’টি ছবির তুলনা করলে বোঝা যাবে, এই কয়েক মাসে কতটা বদলেছে নদীর ছবি। উপরের ছবিটি অক্টোবরের। আর নীচের ছবিটি জুলাইয়ের। প্রথম ছবিটি শুকনো নদীখাত। আর দ্বিতীয়টি ভরা নদী।
ব্রাজিল সরকার গত সপ্তাহেই ঘোষণা করেছিল, আমাজ়ন সংলগ্ন জনপদগুলিতে খরা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সেই জনপদগুলিকে সরকারি সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আমাজ়নের যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি আমাজ়ন শুকিয়ে যাচ্ছে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy