আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিয়ো ভারাদকারের সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ডাবলিনে সোমবার। ছবি: রয়টার্স।
চুক্তিহীন ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে হুঁশিয়ারি দিলেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিয়ো ভারাদকার। ডাবলিনে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ভারাদকার বলেন, ‘‘চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে আয়ারল্যান্ড এবং ব্রিটেনকে ভয়ঙ্কর অসুবিধের মধ্যে পড়তে হবে।’’
জনসন যদিও ফের জানিয়েছেন, তিনি ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ব্রেক্সিট করতে চান। তাঁর মতে, যদি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হয়, তা হলে তার দায় বর্তাবে সবার উপরেই। সংবাদমাধ্যমের সামনে বরিস বলেছেন, ‘‘আমি চুক্তি করতে চাই। চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে কী হবে, তা খতিয়ে দেখেছি। তবু সেটা যদি সত্যিই হয়, তা হলে সেটা হবে গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা। তার দায় আমাদের সবার।’’ তিনি বোঝান, চুক্তি-সহ ব্রেক্সিট করতেই বেশি আগ্রহী তিনি।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী আশাবাদী, ১৯ অক্টোবরের মধ্যে তিনি নয়া চুক্তি করে ফেলতে পারবেন। ওই সময়েই ব্রাসেলস থেকে ইইউয়ের সম্মেলন সেরে ফিরে আসার কথা বরিসের। তবে পার্লামেন্টে বিরোধীরা তাঁর সঙ্গে যা করছেন, তাতে পাত্তা দিতে নারাজ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘‘পার্লামেন্টে কী হবে, তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। আমি জানি ব্রিটিশ জনতা চায়, চুক্তি-সহ ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ হোক।’’
ফলে ফের অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট। দ্রুত ভোট করানোর জন্য বিল এনে আজই পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়ার কথা। বিরোধী দল লেবার পার্টি আগেই জানিয়েছে, তারা এতে সায় দেবে না। ফলে ফের হারের মুখে পড়তে হতে পারে বরিসকে। আর সে ক্ষেত্রে অক্টোবরে দ্রুত সাধারণ নির্বাচন ভোট করানো সম্ভব হবে না তাঁর পক্ষে।
তবে ৩১ অক্টোবরের মেয়াদ পেরিয়ে ব্রেক্সিটের জন্য অতিরিক্ত সময় চাইতে একেবারেই উৎসাহী নয় বরিসের সরকার। বিদ্রোহী কনজ়ারভেটিভ এমপি-রা বলছেন, বরিস আইন না মানলে তাঁরাও আইনি পথেই এর মোকাবিলা করবেন। এই সূত্রেই পার্লামেন্টারি নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বার্কোর বিরুদ্ধে। অভিযোগের জেরে বার্কো বলেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনি ইস্তফা দেবেন।
আজই আবার দেরিতে ব্রেক্সিট করানোর আইনে আনুষ্ঠানিক সম্মতি দিয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ। হাউস অব লর্ডস সূত্রে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রেক্সিট চুক্তি না হলে সরকারকে এই প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিতে বাধ্য করা হবে নয়া আইনের জোরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy