ছবি সংগৃহীত।
এ বার ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হলেন তাঁরই ভাইঝি ফারিদেহ মোরাদখানি। ইরানের উগ্র ইসলামি শাসনকে ‘খুন এবং শিশু খুনের রাজত্ব’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। ভাইঝির এই মন্তব্যকে ভাল ভাবে নেননি খামেনেই। ফারিদেহর ভাই জানিয়েছেন, গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দিদিকে।
কিছু দিন আগেই একটি ভিডিয়ো বার্তায় ফারিদেহ ইরানের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য গোটা বিশ্বের কাছে আর্জি জানান। আরও এক ধাপ এগিয়ে নিজের কাকাকে জার্মানির হিটলারের সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি।
খামেনেইয়ের বোন বদরির কন্যা ফারিদেহ বরাবরই স্পষ্ট বক্তা এবং খামেনেই-বিরোধী বলে পরিচিত। প্রশাসনের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে আগেও এক বার জেল খেটেছেন তিনি। তবে এ বারে মতো এত স্পষ্ট করে ইরানের ধর্মীয় শাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা যায়নি তাঁকে। ভিডিয়োটিতে ইরানের ‘মুক্তি’র জন্য তিনটি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন তিনি। সেগুলি হল, নারী, জীবন এবং স্বাধীনতা। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
কিছু দিন আগেই সঠিক ভাবে হিজাব না পরার জন্য বাইশ বছরের তরুণী মাহশা আমিনিকে গ্রেফতার করেছিল সে দেশের নীতি-পুলিশ। পুলিশি হেফাজতেই রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। তারপরই বিক্ষোভে উত্তাল হয় সারা দেশ। বোরখা খুলে, নিরাভরণ হয়ে, চুল কেটে প্রতিবাদে সরব হন দেশের মেয়েরা। ইরান প্রশাসন চরম বলপ্রয়োগের পথে হাঁটলেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি বিক্ষোভকে। এমনকি, বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম ম্যাচে ইরানের ফুটবলাররা জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে গলা মেলাতে অস্বীকৃত হন। সেই প্রতিবাদ, ক্ষোভের রেশ ধরেই এ বার ধর্মীয় প্রশাসনের শীর্ষ পদাধিকারীর পরিবার থেকেই শোনা গেল উল্টো সুর। মৌলবাদী শাসনের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় জেলেও যেতে হল প্রতিবাদীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy