ইরানে ইউক্রেনের ভেঙে পড়া বিমানের মৃতদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা লন্ডনের ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে। শুক্রবার। এএফপি
ব্ল্যাকবক্স হাতছাড়া করতে নারাজ ইরান। নাশকতার কারণেই তাদের যাত্রিবাহী বিমান ধ্বংস হয়েছে বলে সন্দেহ ইউক্রেনেরও। নাশকতার ছক দেখছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমেরও একাংশ। এরই মধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ভেঙে পড়েছিল বিমানটি। একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে এমনই তত্ত্ব উঠে আসছে বলে দাবি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনেরও। ট্রুডো ও জনসন নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের সওয়াল করেছেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো ট্রুডোও গত কাল জানান, তাঁর মনে হচ্ছে এই হামলা অনিচ্ছাকৃতই।
ট্রাম্প কারও নাম না-করেই বলেছেন, ‘‘হয়তো কেউ ভুল করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।’’ ট্রুডোর অবশ্য রাখঢাক নেই। এর পরেই তেহরানের পাল্টা, ‘‘পারলে প্রমাণ দিক কানাডা। যা তথ্য আছে, সব তুলে দিক।’’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিমান ধ্বংসের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে বলছে, রুশ টর জাতীয় স্বল্পপাল্লার দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছিল ওই কিয়েভগামী বিমানে। তবে ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা-মাত্রই বিস্ফোরণ ঘটেনি বিমানটিতে। বরং সেই অবস্থাতেই বিমানবন্দরে ফিরে আসার চেষ্টা করেছিলেন চালক। কয়েক মিনিট পরে আগুন ধরে যায় তাতে।
গোড়ায় বোয়িং সংস্থা কিংবা অন্য কোনও দেশকে তদন্তে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে আপত্তি জানালেও, চাপের মুখে তেহরান সুর নরম করেছে। বিশেষ বিবৃতি দিয়ে ইরানের বিদেশ মন্ত্রক বোয়িং এবং আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডকে’ তাদের নেতৃত্বাধীন তদন্তে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কানাডা এবং বিমানের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী সংস্থা ফ্রান্সকেও।
তবে ‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভিডিয়ো’র সত্যতা নিয়ে চড়া সুর চড়িয়েছে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম। প্রকাশিত রিপোর্টে তেহরানের মুখপাত্র আলি রাবিয়েই-কে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘‘সংবাদমাধ্যমে যা দাবি করা হচ্ছে, তা আসলে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ বাধানোর একটা ছক। ভবিষ্যতেই প্রমাণ হয়ে যাবে, এই সব দাবি ভিত্তিহীন। তখন এত বড় মিথ্যের দায় কেউই নিতে চাইবে না।’’
ইউক্রেনের ওই বিমানে ৮২ জন ইরানি ছিলেন। এক জনও মার্কিন নাগরিক ছিলেন না। তা হলে সেই বিমানে কেন তেহরান হামলা করবে, সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। ‘অনিচ্ছাকৃত হামলা’র অর্থোদ্ধারেও মাথা ঘামাচ্ছেন অনেকে।
নাকি, জেনারেল কাসেম সোলেমানি খুনের টানাপড়েনে পিছন থেকে ঘুঁটি চেলেছে আমেরিকাই— সে প্রশ্নও উঠছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অফিস আজ বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘আমরা চাই, যথাযথ তদন্তের স্বার্থে, যে দেশের কাছে যা তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তা তদন্তকারীদের সামনে তুলে ধরা হয়।’’ ইউক্রেনের ৪৫ জন বিশেষজ্ঞের একটি দল নিজেদের মতো করে তদন্তে নেমেছে বলেও জানিয়েছে কিয়েভ। সূত্রের খবর, গত কাল ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে জেলেনস্কি। তদন্তের স্বার্থে যৌথ টাস্ক ফোর্স গঠনে রাজি হয়েছে দু’পক্ষই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy