সৌদির বন্দরনগরীতে বিস্ফোরণ ইরানের ট্যাঙ্কারে। ছবি: এপি
সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেড্ডায় ইরানের একটি তেলের ট্যাঙ্কারে আছড়ে পড়ল জোড়া মিসাইল। এই মিসাইল হামলার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানির সাবিতি ও শিনোপা নামের দু’টি ট্যাঙ্কারের। সাবিতি থেকে তেল চুইয়ে পড়তে শুরু করেছে লোহিত সাগরে। এই ঘটনার ফলে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে নিউইয়র্ক ও তেহেরানের মধ্যে। শুক্রবার সকালে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তেলের দাম এক ধাক্কায় ব্যারেল প্রতি এক মার্কিন ডলার বেড়ে গিয়েছে বিশ্ববাজারে।
ইরানের জাতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জেড্ডা থেকে প্রায় ৬০ মাইল দূরে অপরিশোধিত তেলের এই ট্যাঙ্কারে এদিন মিসাইল হামলা হয় স্থানীয় সময় ভোর ৫টা নাগাদ। ভোর ৫টা ২০ মিনিটে হামলা হয়েছে শিনোপা নামক ট্যাঙ্কারে। মধ্যপ্রাচ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএস নেভির মুখপাত্র পিট পাগানো ঘটনার কথা স্বীকার করে নিলেও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
মাস খানেক আগেই হরমুজ প্রণালীতে একের পর এক ট্যাঙ্কার ধ্বংসের ঘটনায় ইরানের দিকে আঙুল তুলেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান সেই দায় স্বীকার করেনি। তবে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের দাবি সেই ঘটনারই ফলশ্রুতি এই মিসাইল আক্রমণ।
আরও পড়ুন:গৃহযুদ্ধ অবসানে ভূমিকা, নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন: চিনফিংয়ের ভারত সফরের আগের মুহূর্তে ফের কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুললেন ইমরান
ইরানের সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, গত ১৪ অগস্ট সাবিতি ট্যাঙ্কারটির শেষ খবর পাওয়া গিয়েছিল। শিনোপার গতিবিধি সম্পর্কে অবশ্য বৃহস্পতিবারও জানতে পেরেছিল ইরান। ওই সংবাদমাধ্যম সূত্রেই আরও জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এই হামলার কার্যকারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদী হামলার অনুমানকেও উড়িয়ে দিচ্ছে না ইরান। এই জাহাজের নাবিক-সহ অন্যান্য কর্মীরা অক্ষত রয়েছেন বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy