গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুন। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকায় প্রত্যর্পণ করা হল ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তকে। চেক প্রজাতন্ত্র থেকে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে খলিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে খুনের ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত নিখিলকে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে আজ এই খবর সামনে এসেছে। ঘটনাচক্রে আজই আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান দু'দিনের সফরে ভারতে। তিনি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে।
ভারত-আমেরিকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘ক্রিটিকাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজি’র (আইসিইটি) বার্ষিক বৈঠকেও যোগ দিয়েছেন সালিভান। বৈঠকের পরে জয়শঙ্কর সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপজেষ্টা জেক সালিভানের সঙ্গে। আমরা আত্মবিশ্বাসী, ভারত-আমেরিকা কৌশলগত অংশীদারি আমাদের নতুন পর্বে আরও শক্তিশালী হবে।’’ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রতিরক্ষা, এআই, সেমিকন্ডাক্টর নিরাপত্তা ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে কথা হয়েছে সালিভানের। সাম্প্রতিক জি৭ বৈঠকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর ইতিবাচক কথাবার্তার স্মরণ করেছেন মোদী। আশা প্রকাশ করেছেন দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার।
তবে কৌশলগত অংশীদারি নিয়ে আস্থা প্রকাশ করলেও মোদী সরকারের নতুন পর্বে পন্নুনকে খুনের চেষ্টার ঘটনা ক্রমশ সাউথ ব্লকের গলার কাঁটা হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। জানা গিয়েছে, নিখিলকে আপাতত ব্রুকলিনের মেট্রোপলিটান ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষেই আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয় নিখিলকে। খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে হত্যার ছকের মামলায় অভিযুক্ত নিখিল। ২০২৩ সাল থেকেই চেক জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। এই নিখিলের বিরুদ্ধে আমেরিকায় মামলা করা হয়েছে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই আমেরিকা নিখিলকে তাদের দেশে নিয়ে গিয়ে বিচার সম্পন্ন করতে চেয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ‘খুনের জন্য বরাত দেওয়ার’ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে আমেরিকার আদালতে। ভারত সরকারের এক এজেন্সির আধিকারিকের নির্দেশেই নিখিল এই কাজ করেন বলে অভিযোগ।
আমেরিকার অভিযোগ, পন্নুনকে খুন করতে এক জন খুনিকে নিয়োগ করেছিলেন নিখিল। এর জন্য হত্যাকারীকে অগ্রিম পনেরো হাজার ডলারও দেন তিনি। আমেরিকার এ হেন দাবির পর স্বাভাবিক ভাবেই শোরগোল শুরু হয় ভারতে। নিখিলকে সব রকম আইনি সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ভারত সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ‘নিখিলকে সাহায্য করার অনুমতি পেয়েছে ভারত। তিন বার ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। প্রয়োজন মতো সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে ভারতের তরফে’। সুপ্রিম কোর্টেও এই বিষয়ে মামলা দায়ের করেছে নিখিলের পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy