ফাইল চিত্র।
মায়ানমারকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা এবং গত নভেম্বরের নির্বাচনকে সম্মান জানানোর পাশাপাশি আউং সান সু চি-সহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তির দাবি তুলে প্রস্তাব পাস করা হল রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায়। তবে চিন এবং রাশিয়ার পাশাপাশি এই প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত থাকল ভারত। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভারতের তরফে বলা হয়েছে, এই প্রস্তাবে তাদের মতামত প্রতিফলিত হয়নি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় পেশ হওয়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১১টি দেশ। বিরোধিতা করেছে শুধু বেলারুশ। ভারত-সহ ৩৬টি দেশ ভোটদানে বিরত থেকেছে। প্রস্তাব পাসের পরে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি বলেন, ‘‘ঘটনা হল ওই অঞ্চলের দেশগুলি তো বটেই, সব প্রতিবেশীর সমর্থনও জোগাড় করা যায়নি। আশা করব, যারা তড়িঘড়ি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্যোগী হল, তাদের চোখ এতে খুলবে।’’ তিরুমূর্তির কথায়, ‘‘ভারত মনে করে না যে এই সময় এই প্রস্তাব টেবিলে এনে পাস করানো মায়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করার ব্যাপারে আমাদের যৌথ উদ্যোগকে সাহায্য করবে।’’ ভোটদানে বিরত থাকা একাধিক দেশ মায়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতিকে সে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে জানিয়েছে। আবার অনেকের বক্তব্য, এই প্রস্তাবে চার বছর আগে মায়ানমারের এগারো লক্ষের বেশি রোহিঙ্গাকে বিতাড়নের বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।
শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জে পাস হওয়া প্রস্তাবকে মানা আইনগত ভাবে বাধ্যতামূলক না হলেও রাজনৈতিক ভাবে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে আন্তর্জাতিক মহলে বেশ চাপের মুখে পড়ল সে দেশের সামরিক জুন্টা প্রশাসন। যদিও রাষ্ট্রপুঞ্জে মায়ানমারের নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী কাইউ মোয়ে তুন প্রস্তাব পাসে বেশি সময় লাগায় একে ‘দুর্বল প্রস্তাব’ বলে বর্ণনা করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy