এস জয়শঙ্কর। — ফাইল চিত্র।
রাশিয়ার জ্বালানির দাম কমানোর লক্ষ্যে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী। তাতে যোগ দিতে ভারতের উপর চাপ বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটন। কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, এই চাপ নতুন নয়। গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক ভাবে আমেরিকার এই চাপ মোকাবিলা করেই মস্কো থেকে অশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। তারা আমদানি তালিকার শীর্ষে চলে যাওয়ার পরে নড়েচড়ে বসেছে পশ্চিমি বিশ্ব। এ ব্যাপারে ভারতের একটিই জবাব, শক্তির প্রশ্নে জাতীয় চাহিদার কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্য কোনও বিবেচনা কাজ করছে না।
তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ যত প্রলম্বিত হচ্ছে, আন্তর্জাতিক কূটনীতির হিসাব অনুযায়ী ভারত কত দিন এই যুক্তি ধরে রাখতে পারবে, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। ভারত সফররত আমেরিকার রাজস্ব বিভাগের উপসচিব ওয়ালি অ্যাডিয়েমো কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠক করে বিশেষ করে এই বিষয়টি নিয়ে চাপ দিয়েছেন বলে খবর। বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, “ভারতীয় নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত তেলের উপর দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া নিয়ে কথা বলেছি। তাঁরা এই বিষয়ে আমাদের কাছে আরও জানতে চেয়েছেন। বিষয়টিতে তাঁদেরও আগ্রহ রয়েছে, কারণ ভারতও চায় কম দামে জ্বালানি। ভারতের লক্ষ্য তাদের বাণিজ্য এবং বিপুল ঘরোয়া চাহিদার মেটানো। আশা করি আমাদের লক্ষ্যের সঙ্গে ভারতের লক্ষ্য মিলে যাবে। আমরা চাই রাশিয়ার রোজগার কমাতে।”
সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির পরিমাণ ১২ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৯ সালের চেয়ে যা ১১ শতাংশ বেশি। এখন রাশিয়া থেকে সস্তায় ভারত তেল কিনছে ঠিকই। কিন্ত আমেরিকার তথা পশ্চিমি বিশ্ব তেলের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিলে, ভারতের পক্ষে মস্কোর তেল ভাঁড়ারে ঢোকা সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy