নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র
কাশ্মীর-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে ভারতের বিরোধিতা করার জেরে মালয়েশিয়ার পাশাপাশি তুরস্ক থেকেও আমদানি কমানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করল সাউথ ব্লক। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে যাতে ভুল সংকেত না যায়, তার জন্য কিছুটা নরম বিবৃতি দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল আজ জানিয়েছেন, আমদানি নীতি নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা কোনও বিশেষ একটি বা দু’টি রাষ্ট্রের স্বার্থকে আঘাত করতে নয়। দেশের স্বার্থের নিরিখেই তা নেওয়া হয়েছে। এবং সেই ‘নিয়ন্ত্রণ’ শুধু মালয়েশিয়া নয়, সব দেশের জন্যই প্রযোজ্য।
সাউথ ব্লক সূত্রের খবর, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ প্রত্যাহার করা নিয়ে ভারতের বিরোধিতা করা, আন্তর্জাতিক আর্থিক নজরদারি সংস্থার (এফএটিএফ) কালো তালিকা থেকে ইসলামাবাদকে বাঁচানোর ধারাবাহিক চেষ্টা করে যাওয়ার মতো বিষয়গুলি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের সঙ্গে তুরস্কের টানাপড়েন চলছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার থেকে পাম তেল আমদানি কমানোর পাশাপাশি তুরস্ক থেকেও তেল এবং ইস্পাত আমদানি কমানোর চিন্তা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আজ এই প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার বলেছেন, ‘‘কোনও দেশ থেকে আমদানি বাড়ানো হবে না কমানো হবে, তা একান্ত ভাবেই আমদানিকারী দেশটির বিবেচনার উপর নির্ভর করে। সে দেশের বাণিজ্যিক চাহিদার উপর নির্ভর করে। তবে এ কথাও ঠিক, যে দেশ থেকে আমদানি করা হবে তার সঙ্গে আমদানিকারী দেশের সম্পর্ক কেমন, তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।’’
আজ রাইসিনা সংলাপে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালও প্রথমে বলেন, ‘‘মালয়েশিয়া অথবা তুরস্কের থেকে আমদানির রাস্তায় আমরা কোনও দেওয়াল তুলিনি।’’ কিন্তু তার পরেই তাঁর বক্তব্য, ‘‘যদি কোনও দেওয়াল তোলা হয়ও, তা হলে তা ভারতের বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের স্বার্থের কথা ভেবে। যদি ভারতের কোনও নিয়ন্ত্রণে মালয়েশিয়া প্রভাবিত হয়, তা হলে আমি মনে করি না তারাই একমাত্র দেশ যারা প্রভাবিত হচ্ছে। সমস্ত দেশের ক্ষেত্রেই একই নিয়ন্ত্রণ বহাল করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy