Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Saudi Arab

লক্ষ্য ভারসাম্য, সৌদি-ভারত সম্পর্ক বাড়ছে

কূটনৈতিক সূত্রের মতে, ওআইসি তথা বর্তমান ইসলামিক বিশ্বে অন্যতম প্রভাবশালী দেশ সৌদির সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ানো মোদী সরকারের কাছে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৪২
Share: Save:

সৌদি আরব-এর সঙ্গে নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষাগত সমঝোতা বাড়াচ্ছে ভারত। সম্প্রতি দু’দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম যৌথ নৌমহড়াও হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত সৌদির রাষ্ট্রদূত সৌদ মহম্মদ আল-সাতি সম্প্রতি জানিয়েছেন, ‘এই দশকে ভারত এবং সৌদির মধ্যে সম্পর্কের অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। গভীর হয়েছে কৌশলগত সম্পর্ক। শক্তিক্ষেত্র, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য পরিষেবা সব দিকেই বর্ধিত হয়েছে সহযোগিতা।’

কূটনৈতিক সূত্রের মতে, ওআইসি তথা বর্তমান ইসলামিক বিশ্বে অন্যতম প্রভাবশালী দেশ সৌদির সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ানো মোদী সরকারের কাছে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের মতে, ইরান এবং আরব বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলি এখন পরস্পর দুই মেরুতে দাঁড়িয়ে। ইজরায়েলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সৌদি বা সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো রাষ্ট্রগুলি ইরানকে কোণঠাসা করতে মরিয়া। ২০ জানুয়ারি জো বাইডেন কুর্সিতে বসার পর ইরানের সঙ্গে ভেঙে যাওয়া পরমাণু চুক্তি যাতে আবার জোড়া না লাগান, তার জন্য একই ভাবে সক্রিয় আরব এবং ইজরায়েল।

সম্প্রতি তেহরানের কাছেই ইরানের এক জন মুখ্য পরমাণু বিজ্ঞানীকে খুন করা হয়েছে। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, এটি রাজনৈতিক কৌশলের অঙ্গ। যদি এই হত্যার প্রতিক্রিয়ায় চরমপন্থা নেয় ইরান, তা হলে আমেরিকা এবং ইজরায়েলের সঙ্গে কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হবে। বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে তেহরানের পরমাণু চুক্তির সম্ভাবনাও বিনষ্ট হবে।

আরও পড়ুন: জীবনযুদ্ধে বিজয়ীর সম্বল শুধুই জেদ

ভারতের কাছে সৌদির গুরুত্ব বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত ভাবে যথেষ্ট। মোদী সরকারের বিদেশনীতির একমাত্র সাফল্য পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে দৌত্য, এমনই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ভারত ঐতিহ্যগত ভাবে কখনওই কোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্ক অন্য কোনও রাষ্ট্রের বিনিময়ে গড়তে চায়নি। আমেরিকার সঙ্গে ইরানের সংঘাতের মধ্যেও ইরানের সঙ্গে জোরালো সমন্বয় বজায় রেখেছে নয়াদিল্লি। শক্তিক্ষেত্রে নির্ভরতা তো রয়েছেই। ইরানের চাবাহার বন্দরের গুরুত্বও যথেষ্ট ভারতের কাছে।

আরও পড়ুন: ‘এ ভাবে যেন আর কারও কোল খালি না হয়’

তবে শুধু সৌদির সঙ্গে শত্রুতা নয়, ইরান এখন যোগ দিয়েছে তুরস্কের সঙ্গেও, যারা কট্টর রাজনৈতিক ইসলামের চর্চা করে থাকে। পাকিস্তানের ইমরান সরকারও তুরস্কের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাশ্মীর নিয়ে তোপ দাগতে চাইছে বারবার। ফলে ইরান এবং আরবের মধ্যে কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রেখে চলা এখন ভারতের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী সপ্তাহে ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে যাচ্ছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে যখন সৌদি আরবের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে, তখন পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সামরিক সম্পর্কের উন্নতি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Saudi Arab India Alliance Defense Security
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy