ইমরান খান। —ফাইল চিত্র।
এখনও ভোটগণনা চলছে পাকিস্তানে। শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হয়েছিল গণনা। শনিবার রাত ১২টায় এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগে পর্যন্ত পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ২৬৫টি আসনের মধ্যে ২৫৬টির ফলাফল প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে ইমরান খানের দলের তরফে হুঁশিয়ারির সুরে জানানো হয়েছে, মধ্যরাতের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষিত না হলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে নামবে তারা।
ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর নেতা গোহর আলি খান শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, নির্বাচন কমিশন যদি মধ্যরাতের মধ্যে সম্পূর্ণ ফলাফল প্রকাশ্যে না আনে, তবে দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ দেখানো হবে। গোহরের কথায়, "যে সব অঞ্চলের ফলাফল এখনও জানা যায়নি, সেই সব জায়গার রিটার্নিং অফিসারদের দফতরের বাইরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ পিটিআই সমর্থকেরা।
ইমরানের দলের দাবি, তাদের সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরাই পাকিস্তানের পরবর্তী সরকার গঠন করবেন। খাইবার পাখতুনখোয়া এবং পঞ্জাবের প্রাদেশিক নির্বাচনেও তারা জয়ী হয়েছেন বলে দাবি পিটিআই-এর। এর পাশাপাশি পিটিআই-এর অভিযোগ, রিটার্নিং অফিসারদের একাংশ তাদের প্রার্থীদের জোর করে হারিয়ে দিচ্ছেন।
এখনও পর্যন্ত নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) ৭৩ এবং বিলাবল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টিতে জিতেছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত নির্দলেরা ৯৩ এবং নির্দল ও অন্যেরা এখনও পর্যন্ত ৩৬ আসনে জয়ী হয়েছে। অর্থাৎ, সংখ্যাগরিষ্ঠতার দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে জোট। এ ছাড়া নির্দল এবং জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের মতো কট্টরপন্থী কয়েকটি দলের সমর্থনও তারা পেতে পারে। পাক নির্বাচন কমিশন ‘রাজনৈতিক দল’ হিসাবে পিটিআই-এর স্বীকৃতি বাতিল করায় তারা সরাসরি তারা এ বার ভোটের ময়দানে নেই। কিন্তু ইমরানের দলের অনেক নেতাই ‘নির্দল’ হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ফল বলছে, এখনও পর্যন্ত ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে নির্দলেরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। এই পরিস্থিতিতে ইমরানকে রুখতে আরও এক বার হাত মেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন নওয়াজ এবং বিলাবল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy