Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Bangladesh Crisis

নিরাপত্তার অভাবের সঙ্গী অনিশ্চয়তা, শুল্ক জটে থমকে ট্রাক, সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধই

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন শুল্ক দফতরের কর্মীরা। ফলে থমকে রয়েছে বাণিজ্য। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মঙ্গলবার কোনও পণ্য বের হয়নি। একই ছবি ঢাকা বিমানবন্দর, বেনাপোল স্থলবন্দরেও।

Imports and Exports of Bangladesh are stalled as customs officers in ports are feared of security

পদ্মাপারে স্তব্ধ আমদানি-রফতানি —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৪ ১২:১৮
Share: Save:

হাসিনা জমানার অবসানের প্রায় ৪৮ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। প্রত্যাহার করা হয়েছে কার্ফু। তবে ওপার বাংলার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। লুট, অগ্নিসংযোগ, খুন, রাহাজানির জেরে বাংলাদেশ জুড়ে এখন ভয়ের পরিবেশ। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা নিচুতলার পুলিশকর্মীরা কর্মবিরতিতে। স্তব্ধ বৈদেশিক বাণিজ্যও। স্থল, জল, আকাশ- তিন পথেই থমকে বাণিজ্য।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশ, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কোনও পণ্য বের হয়নি। শুল্ক দফতরের কর্মীরা বেশিরভাগই উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মঙ্গলবার দুপুরেই অনেকে অফিস ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ফলে আমদানি করা পণ্যের উপর প্রদেয় কর ধার্যের কাজ থমকে রয়েছে। আমদানি করা পণ্যের চালান অনলাইনে জমা পড়লেও, তা প্রক্রিয়াকরণের কাজের জন্য কর্মীর দেখা পাওয়া যায়নি। ‘প্রথম আলো’-কে চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক বিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন, বন্দরের ভিতরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকলেও, বন্দর চত্বরের বাইরের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। যদিও বন্দর সচিব মহম্মদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বন্দরের পরিষেবা স্বাভাবিকই রয়েছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরে ১৬টি জাহাজ ছিল এবং আরও ৫০টি পণ্যবাহী জাহাজ সমুদ্র রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও কাস্টমসের কাজ মঙ্গলবারও কার্যত স্তব্ধ ছিল। আমদানি-রফতানি থমকে রয়েছে বেনাপোল স্থলবন্দরে। সোনামসজিদ, হিলি, ভোমরা, বিবিরবাজার-সহ অন্যান্য স্থলবন্দরগুলিতেও একই চিত্র। বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রকে উদ্ধৃত করে ‘প্রথম আলো’-য় প্রকাশ, মঙ্গলবার বেনাপোল স্থলবন্দরের আশপাশের রাস্তায় লাঠি হাতে এক দল লোককে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। যদিও বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর (ট্রাফিক) রেজাউল করিম আশ্বস্ত করেছেন, বুধবার থেকে বাণিজ্যিক পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা হবে।

এপার বাংলার সঙ্গে ওপার বাংলার বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাছের আমদানি-রফতানি। শুধু বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানি নয়, পশ্চিমবঙ্গ থেকেও অনেক মাছ বাংলাদেশে যায়। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কলকাতা মৎস্য আমদানিকারক সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশে যখন মাঝে খুব উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তখন প্রায় এক সপ্তাহ বাণিজ্য বন্ধ ছিল। তারপর পরিস্থিতি একটু উন্নতি হলে আবার শুরু হয়েছিল। কিন্তু নতুন করে বাংলাদেশে অশান্তি ছড়ানোর কারণে বিগত চার-পাঁচ দিন ধরে আবারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বৈদেশিক বাণিজ্য।

তিনি জানিয়েছেন, অন্তত ১০০-১১০ টন মাছ আমদানি ও রফতানির কথা ছিল। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তা থমকে রয়েছে। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bangladesh Crisis Bangladesh trade
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE