যে ভাবে শক্তি সঞ্চয় করছে হারিকেন ‘ফ্লোরেন্স’, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে তোলা ছবি।
হারিকেন ‘ফ্লোরেন্স’-এর ভয়ে কার্যত, ঠকঠক করে কাঁপছে আমেরিকার পূর্ব উপকূল। ভয়ঙ্কর ভাবে আছড়ে পড়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবারই। পড়েনি। আবহবিদরা বলছেন, কাল, শুক্রবার বা শনিবার তা আছড়ে পড়তে পারে পূর্ব উপকূলের মূলত দু’টি এলাকা নর্থ ও সাউথ ক্যারোলিনায়।
দিনতিনেক আগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে গভীর সমুদ্রে ‘ফ্লোরেন্স’-এর শক্তিসঞ্চয়ের যে ভিডিয়ো তুলে পাঠানো হয়েছিল ‘নাসা’-র জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরিতে, তা দেখে ‘ত্রাহি ত্রাহি’ রব ওঠে আমেরিকার পূর্ব উপকূলের এলাকাগুলি জুড়ে। দ্রুত এলাকাগুলি ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে শুরু করেন বাসিন্দারা। আবহবিদদের পূর্বাভাস, পূর্ব উপকূলের নর্থ ও সাউথ ক্যারোলিনাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ওই হারিকেনে। বাস্তুচ্যূত হতে পারেন প্রায় এক কোটি মানুষ।
ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের তরফে পূর্বাভাস ছিল, বৃহস্পতিবার ভয়ঙ্কর শক্তিশালী হয়ে উঠে ‘ক্যাটেগরি-৪’ পর্যায়ে গিয়ে আমেরিকার পূর্ব উপকূলের এলাকাগুলিতে আছড়ে পড়বে ওই হারিকেন। ঝড়ের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৪০ মাইল।
যে ভাবে শক্তি সঞ্চয় করছে হারিকেন ‘ফ্লোরেন্স’, মহাকাশ স্টেশন থেকে তোলা ভিডিয়ো
কিন্তু বুধবার থেকেই হৃতবল হয়ে পড়ে হারিকেন ‘ফ্লোরেন্স’। ঝড়ের গতিবেগ কমে আসে ঘণ্টায় ১১০ মাইলে। ফলে, ভয়াবহতার নিরিখে কার্যত, কিছুটা ‘নিরীহ’ হয়ে পড়ে ‘ক্যাটেগরি-২’-এ নেমে যায় হারিকেন ‘ফ্লোরেন্স’-এর ‘স্টেটাস’।
আরও পড়ুন- দাপট কম, তবু ঘূর্ণিঝড় নেট-এ কাবু আমেরিকা
আরও পড়ুন- হারিকেন ত্রাণে পাঁচ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এক মঞ্চে, উচ্ছ্বসিত আমেরিকা
তবে ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের অধিকর্তা কেন গ্রাহাম বলছেন, ‘‘তেমন কিছু নয়, ভেবে নেওয়াটা এখনই উচিত হবে না। আসলে, ওই হারিকেন ‘ফ্লোরেন্স’ একটু বেশি সময় আটকে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে। শুক্রবার বা শনিবার তা আছড়ে পড়বে নর্থ ও সাউথ ক্যারোলিনা উপকূলে।’’
ভিডিয়ো সৌজন্যে নাসা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy