কঙ্গোর গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে জেলের মধ্যে কয়েকশো মহিলাকে ধর্ষণ করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। গত সপ্তাহে মধ্য আফ্রিকার দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর গোমা শহরে প্রবেশ করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। গোটা শহরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই সময়ে গোমায় মুনজ়িন জেল থেকে প্রচুর কয়েদি পালিয়ে যান। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, জেলের মহিলা ওয়ার্ডে সে সময়ে কয়েকশো কয়েদি ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে ওই মহিলা ওয়ার্ডে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাতে প্রত্যেক মহিলা কয়েদিই পুড়ে মারা যান।
কঙ্গোর গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে সেখানে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনীকেও নামানো হয়েছে। গোমায় রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনীর উপপ্রধান ভিভিয়ান ভ্যান ডি পেরে জানান, ওই জেল থেকে প্রায় চার হাজার কয়েদি পালিয়ে গিয়েছেন। মহিলা কয়েদিদের ওয়ার্ডে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ওয়ার্ডে আগুন ধরানোর আগে প্রত্যেক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
কঙ্গো সরকার এবং তাদের বন্ধু দেশগুলির অভিযোগ, এম২৩ সশস্ত্র গোষ্ঠীকে মদত দিচ্ছে মধ্য আফ্রিকার আরেক দেশ রোয়ান্ডা। আমেরিকা, ফ্রান্স-সহ পশ্চিমি শক্তির একাংশও সরকারকে উৎখাত করছে চাইছে বলে অভিযোগ। যদিও রোয়ান্ডা বরাবর ওই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।
‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি বিদ্রোহী গোষ্ঠী গোমায় পৌঁছনোর অল্প কিছু ক্ষণের মধ্যেই জেলে আগুন ধরানো হয়। জেলের ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনী এখনও পর্যন্ত তদন্তের জন্য ওই জেলে প্রবেশ করতে পারেনি। বিদ্রোহী গোষ্ঠী ওই জেলে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা বসিয়ে রেখেছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী গোমার দখল নেওয়ার পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ২০০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কঙ্গোর সেনা এবং সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩-এর যোদ্ধারা ছাড়াও নিহতদের তালিকায় বহু সাধারণ মানুষও রয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা ইতিমধ্যেই দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী বাহিনী।