নিজের বাজারদর জানা বিশেষ ভাবে জরুরি। আর তা জানা যায় সহকর্মীদের থেকে। প্রতীকী ছবি।
ভাল কাজ করেও বছরের শেষে বেতনবৃদ্ধি হচ্ছে না? কোপ পড়ছে পদোন্নতিতে? মাইনে বাড়়ানোর চক্করে অনেকেই বসকে খুশি করার পিছনে ছোটেন। বসের কোঁচকানো ভুরু দেখলে দেঁতো হাসি আরও চওড়া করাকেই শ্রেয় মনে করেন অনেকে। বছর শেষে ইনক্রিমেন্টের টিকিটা বসের হাতে বাঁধা থাকলেও ওটাই শেষ কথা নয়। নিজেকে গড়েপিঠে বাজারে নিজের দর বাড়ানো এবং সেটা সম্পর্কে অবহিত হওয়াও সমান জরুরি বলেই মনে করেন আমেরিকার প্রবাসী ভারতীয় সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নিশান্ত পারেপল্লি।
ঝা-চকচকে অফিস। রসিক সহকর্মী। এক সঙ্গে বসে আড্ডা। ভাল বেতন। ভাল কাজ করলে বছরের শেষে মোটা বোনাস। সবই ছিল। কিন্তু ওই একঘেঁয়ে অ্যাপ্লিকেশন ইঞ্জিনিয়ারের কাজ আর পোষাচ্ছিল না নিশান্তের। ঠিক করেন, অতিমারি-পর্বে ঘরে বসে পচতে থাকার চেয়ে সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং শিখে ফেলা ভাল। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। কোডিং শিখতেই এক ধাক্কায় তাঁর বাজার দর এতটা লাফ দেবে নিজেও কল্পনা করেননি নিশান্ত।
নতুন চাকরির জন্যেও গলদঘর্ম হতে হয়নি নিশান্তকে। সুযোগ এল নিজের অফিসেই নতুন কাজের। সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের কাজ। কিন্তু বেতন বাড়বে কী ভাবে? বাড়লেও কতটা বাড়বে?
এখানেই নিশান্ত বলছেন, নিজের বাজারদর জানা বিশেষ ভাবে জরুরি। আর তা জানা যায় সহকর্মীদের থেকে। বিশেষত অভিজ্ঞ সহকর্মীদের থেকে। তাঁর পরামর্শ, সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন। আড্ডা দিন। যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কত হওয়া উচিত, তাঁদের চেয়ে ভাল কেউ জানেন না।
নিশান্ত তা-ই করেছেন। নতুন কাজের সুযোগ আসতেই সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করা শুরু করেছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন, যোগ্যতা অনুযায়ী তাঁর বেতন কত হওয়া উচিত, এইচআর-এর সঙ্গে কতটা দরাদরি করতে হবে।
অভিজ্ঞতা থেকে নিশান্ত বলছেন, এইচআর-এর সঙ্গে ইন্টারভিউতে সহকর্মীদের সমস্ত কথা মিলেও গিয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘যোগ্যতা থাকলে কোনও সংস্থাই আপনাকে ছাড়তে চাইবে না। মানানসই বেতন চাইলে ওঁরা আপনাকে তা দিয়ে দেবেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy