চিনের সরকার আর শাসক কমিউনিস্ট পার্টির তরফে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল গত কয়েক বছর ধরেই। শেষ পর্যন্ত তাতে নতিস্বীকার করে হংকঙের একমাত্র বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি নিজেদের অস্তিত্ব বিলোপের সিদ্ধান্ত নিল!
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান লো কিন-হেইয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি রবিবার রাতে এক বৈঠকে সংগঠন ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন-হেই সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘দল ভেঙে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গড়ে তোলার পক্ষে দলের ১১০ সদস্যের ৯০ শতাংশ ভোট দিয়েছেন।’’
গণতন্ত্রকামী আন্দোলনে রাশ টানতে চার বছর আগেই হংকঙে জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর করেছিল বেজিঙের সমর্থনপুষ্ট হংকং সরকার। সেই কঠোর আইনের আওতায় স্বায়ত্তশাসিত এই এলাকার বহু গণতন্ত্রকামী নেতার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। দল ভেঙে না দিলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করার হুমকি দিয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত একদলীয় চিন।
বস্তুত, বিরোধী কণ্ঠ কঠোর ভাবে দমন করতে গত বছর নিরাপত্তা আইন ঢালাও ভাবে প্রয়োগও করেছিল হংকং প্রশাসন। হংকং আইনসভায় পাশ করে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়া হয়েছিল বিনা বিচারে আটকের বন্দোবস্ত করা সেই জাতীয় নিরাপত্তা আইনে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে ব্রিটেনের অধীন থেকে চিনের নিয়ন্ত্রণে এসেছিল হংকং। তারও তিন বছর আগে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি গঠিত হয়েছিল। হংকঙে একটি গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য বেজিংকে চাপ দিতে গণতন্ত্রপন্থী শক্তিগুলোকে জোটবদ্ধ করার কাজে জড়িত ছিলেন কিন-হেই এবং তাঁর সঙ্গীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিনপিঙের হুমকিতে রণে ভঙ্গ দিলেন তাঁরা।