Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Hizbul Mujahideen Terrorist Killed

হিজবুলের অন্যতম মাথাকে গুলি করে হত্যা পাকিস্তানে! বশিরকে নিয়ে পাঁচ মাস আগে সতর্ক করেছিল দিল্লি

পাঁচ মাস আগে অক্টোবরেই বশিরকে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁকে ধরার চেষ্টাও চলছিল কাশ্মীরে। তবে বশির তাঁর কাশ্মীরের বাড়ি ছেড়ে পাকিস্তানে থাকতে শুরু করেছিলেন।

Hizbul Mujahidin Top Ranking Commander Bashir Ahmad Pir alias Imtiyaz Alam killed in Pakistan.

২০০০ সাল থেকে জঙ্গিগোষ্ঠীর কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত আলম। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:০১
Share: Save:

হিজবুল মুজাহিদিনের অন্যতম মাথা বশির আহমদ পীর ওরফে ইমতিয়াজ আলমকে গুলি করে হত্যা করা হল পাকিস্তানে। হিজবুলের ‘লঞ্চিং কম্যান্ডার’ বলা হত তাঁকে। কাশ্মীরে বহু সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সংগঠিত করার অভিযোগ ছিল বশিরের বিরুদ্ধে। সোমবার ভর সন্ধ্যায় ইসলামাবাদের রাওয়ালপিন্ডিতে একটি দোকানের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয় বশিরকে।

পাঁচ মাস আগে অক্টোবরেই বশিরকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁকে ধরার চেষ্টাও চলছিল কাশ্মীরে। তবে বশির তাঁর কাশ্মীরের কুপওয়াড়ার বাড়ি ছেড়ে পাকিস্তানে থাকতে শুরু করেছিলেন। চলে গিয়েছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

২০০০ সাল থেকেই জঙ্গিগোষ্ঠীর কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বশির। তবে কাজ করতেন মূলত পাকিস্তানে থেকেই। হিজবুল প্রধান সৈয়দ সালাহুদ্দিনের ঘনিষ্ঠ এবং হিজবুল জঙ্গিদের তৃতীয় শীর্ষনেতা বলে পরিচিত এই জঙ্গিনেতা সম্প্রতি ভারতে নতুন জঙ্গি পাঠানো এবং জঙ্গিদের দলে নিয়োগ করার দায়িত্বে ছিলেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। পাকিস্তান থেকে চোরা পথে ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর অস্ত্র শস্ত্র এবং অর্থ সাহায্য পাঠানোর দায়িত্বেও ছিলেন বশির।

গত বছর অক্টোবরেই বশিরকে নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছিল দিল্লি। তারা জানিয়েছিল, বশির পুরনো জঙ্গিদের একত্র করে সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন। প্রাক্তন সন্ত্রাসবাদী এবং ক্যাডারদের একত্রিত করার জন্য অনলাইনে প্রচারও চালাচ্ছেন।

২০১৯ সালের মে মাসে কাশ্মীরে আল কায়েদা জঙ্গিগোষ্ঠীর এক শাখার প্রধান কম্যান্ডারকে হত্যার অভিযোগও উঠেছিল বশিরের বিরুদ্ধে।

এর আগে ২০০৭ সালের মার্চে এক বার বশিরকে হেফাজতেও নিয়েছিল পাকিস্তানের সামরির গোয়েন্দা দফতর। সেই সময়ে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই বশিরের পাশে দাঁড়ায়। তাদের নির্দেশে বশিরকে মুক্তি দিয়েছিল পাক গোয়েন্দারা। তবে সোমবার সন্ধ্যায় সেই পাকিস্তানেই বশিরকে কারা খুন করল, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, বশির তাঁর রাওয়ালপিন্ডির বাড়ির কাছেই একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎই এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এসে তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বশিরের। ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে রাওয়ালপিন্ডির পুলিশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy