ফাইল চিত্র।
ফের উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে সংক্রমণ। কোভিডের বাড়াবাড়ি রুখতে তাই এখনই সুরক্ষাবিধি কঠিন করার জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছে আর্জি জানালেন সে দেশের চিকিৎসকেরা। চিকিৎসক সংগঠনের অভিযোগ, সরকার মাস্ক বাধ্যতামূলক করার মতো অতি জরুরি ব্যবস্থাও ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে’ চালু করছে না। ব্রিটেনের চিকিৎসকদের আশঙ্কা, অচিরেই দেশে করোনা সংক্রমণ দিনে ১ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলে অতিমারি রুখতে মন্ত্রীদের ‘প্ল্যান বি’ প্রস্তুত করে রাখার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। মাস্ক পরা বা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর ব্যবস্থা বহাল রাখতে সরকারকে দ্রুত নির্দেশ দেওয়ার কথা বলেছেন চিকিৎসকেরা। গত কাল ব্রিটিশ মেডিক্যাল আসোসিয়েশন-এর চেয়ার অব দ্য কাউন্সিল চাঁদ নাগপাল বলেন, ‘‘সংক্রমণ কমাতে ইচ্ছাকৃত ভাবে গাফিলতি করছে সরকার। ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বা বদ্ধ জায়গায় মাস্ক পরা, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিধিনিষেধ চালু করার সময় এসেছে। এই নিয়ম বহু দেশেই মানা হচ্ছে।’’
ব্রিটেনে দৈনিক সংক্রমণ এক টানা আট দিন ৪০ হাজারের উপরে রয়েছে। গত কাল এক সাংবাদিক বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ দৈনিক সংক্রমণ ১ লক্ষ ছাড়ানোর আশঙ্কা প্রকাশ করলেও নতুন করে সুরক্ষাবিধি বাড়ানোর কথা বলেননি। মন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে সরকার মাস্ক, নাইটক্লাব বা বড় জমায়েতে প্রবেশের জন্য কোভিড পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক করা অথবা চাকুরিজীবীদের বাড়ি থেকে কাজ করার কথা বলছে না। সরকারের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন ব্রিটেনের চিকিৎসক ও জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা (এনএইচএস)। তাদের আশঙ্কা, গোটা শীত কাল জুড়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় স্বাস্থ্য পরিষেবার উপরে চাপ পড়তে পারে আগামী দিনে।
সংক্রমণ বাড়ায় গত কাল ব্রিটেন থেকে বিমান ঢোকা বাতিল করেছে মরক্কো। জুলাই থেকেই ইংল্যান্ডে কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। সিনেমাহল, বা স্টেডিয়ামে মাস্ক ব্যবহার বা দূরত্ববিধি মানাও আর আবশ্যিক নয়। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, এনএইচএস-এর উপরে এখনই ‘প্রবল চাপ’ নেই। মন্ত্রক বলেছে, ‘‘পরিষেবার উপরে চাপ পড়তে পারে। তবে তা সামলানোর ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy