শেষ পর্যন্ত সমস্ত ইজ়রায়েলি পণবন্দিকেই ফেরাতে রাজি হল হামাস গোষ্ঠী। তবে শর্ত রয়েছে। হামাসের দাবি, বিনিময়ে গাজ়া থেকে পাকাপাকি ভাবে ইজ়রায়েলি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। প্যালেস্টাইনি বন্দিদের ফেরাতে হবে। গাজ়া শহর পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে ইজ়রায়েলকে। পাশাপাশি, কোনও সাময়িক যুদ্ধবিরতি নয়, স্থায়ী ভাবে ইজ়রায়েলি হামলা বন্ধ হোক, চায় হামাস। বৃহস্পতিবার হামাসের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। হামাসের শীর্ষ স্থানীয় নেতা খলিল অল-হায়া টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেছেন। তাঁর প্রস্তাবে প্রায় দু’বছর ধরে চলতে থাকা ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধের ইতি হতে পারে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
খলিল বলেছেন, ‘‘আমরা একটা পাকাপাকি চুক্তি করতে চাই। সেই চুক্তি অনুযায়ী সমস্ত ইজ়রায়েলি পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময়ে সমস্ত প্যালেস্টাইনি বন্দিদের মুক্তি দেবে ইজ়রায়েল। গাজ়ার যুদ্ধ শেষ করতে হবে আর শহরটি পুনর্নির্মাণ করতে হবে।’’ তবে হামাস জানিয়েছে, ইজ়রায়েলের দাবি মেনে নিয়ে তারা অস্ত্র প্রত্যাহার করবে না। এর আগে ইজ়রায়েল হামাস জঙ্গিদের অস্ত্র প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে ৪৫ দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতির কথা বলেছিল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। তবে হামাস জানিয়েছে, পাকাপাকি ভাবে যুদ্ধবিরতির শর্তেই তারা কোনও চুক্তি করতে রাজি।
এ দিকে, অন্য দিনের মতোই আজও গাজ়ায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইজ়রায়েল। প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, আজ ইজ়রায়েলি হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছে। তার মধ্যে খান ইউনিস শহরে নিহত ৩৫ জন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ১০ জন রয়েছেন। মহিলা ও শিশুদের কয়েকটি দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে চেনা দায়। ইজ়রায়েলি বাধার মুখে ৬ সপ্তাহ ধরে ত্রাণ ঢুকছে না গাজ়ায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, খাবার, পানীয় জলের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে। ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের সঙ্কটও চরমে।
অন্য দিকে, আজ ইয়েমেনে হুথি জঙ্গিদের উপরে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। হোদেইদায় রাস ইসা বন্দরের কাছে সেই হামলায় অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম ১২৬ জন।
সংবাদ সংস্থা
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)