পণবন্দি তরুণের মুক্তির দাবিতে ইজ়রায়েলের রাস্তায় প্রতিবাদীরা। ছবি: রয়টর্স।
মাত্র ২০ বছর বয়স। তবে এই ২০ বছরের জীবনে ৪২০ দিন তিনি কাটিয়ে ফেললেন পণবন্দি হয়েই। এ বার মুক্তি চাই! আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে তাঁর কাতর আর্জি, ‘‘হামাসের হাত থেকে উদ্ধার করুন।’’
এডেন আলেকজ়ান্ডার নামে ওই তরুণ ইজ়রায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) সদস্য হিসাবে গাজ়ায় যুদ্ধে গিয়েছিলেন। গত বছর ৭ অক্টোবর গাজ়ায় গিয়ে আর ফেরেননি তিনি! প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হাতে পণবন্দি হন তিনি। শনিবার হামাসের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে ওই পণবন্দি তরুণের ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োতে তাঁকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে।
আমেরিকা এবং ইজ়রায়েল— দুই দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে আলেকজ়ান্ডারের। হামাসের প্রকাশিত ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কাঁদতে কাঁদতে দুই দেশের প্রধানের কাছে মুক্তি চেয়ে আর্জি জানাচ্ছেন। আলেকজ়ান্ডারের ভিডিয়ো দেখে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ‘অত্যন্ত নিষ্ঠুর’ বলে হামাসকে নিশানা করেছে আমেরিকা প্রশাসন। তারা আরও জানিয়েছে, সরকার আলেকজ়ান্ডারের পরিবারের পাশে আছে।
ভিডিয়োতে পুত্রের এমন অবস্থা দেখে শিউরে উঠেছেন তরুণের মা। কাঁপা কাঁপা গলায় তিনি বলেন, ‘‘আমার পুত্র এবং অন্য পণবন্দিদের অবস্থা দেখে কষ্ট হচ্ছে। সকলেই উদ্ধারের আশায় বসে আছেন। চিৎকার করে আর্তনাদ করছেন।’’ তবে ভিডিয়োতে আলেকজ়ান্ডারকে দেখে আশায় বুক বাঁধছেন তাঁর মা। গাজ়ায় যুদ্ধের দ্রুত অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, পণবন্দিদের মুক্তির জন্য হামাসের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য ইজ়রায়েল-নেতৃত্বের কাছে আবেদনও করেছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজ়রায়েলের একটি শহরে হামলা চালিয়েছিল হামাস। এই হামলার জেরে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১১০০ জনের। শুধু তা-ই নয়, ২৫০ জন ইজ়রায়েলি নাগরিককে যুদ্ধবন্দিও করেছিল হামাস। তার পর গাজ়া ভূখণ্ডকে হামাসমুক্ত করতে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইজ়রায়েল। গত এক বছর ধরে যুদ্ধের তীব্রতার তারতম্য ঘটলেও মৃত্যুমিছিল থেমে থাকেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy