চাপ দিয়ে ইজ়রায়েলি পণবন্দিদের মুক্ত করতে চাইলে তাঁদের এ বার কফিনে ফেরত পাঠাতে বাধ্য হবে তারা, বুধবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে হুঁশিয়ারি দিল হামাস সশস্ত্র বাহিনী। পাশাপাশি এ-ও জানাল, পণবন্দিদের উপর কখনওই কোনও রকম নির্যাতন করা হচ্ছে না। তাঁদের প্রাণে বাঁচিয়ে রাখার সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ইজ়রায়েলের লাগাতার হামলায় সেই প্রয়াস সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ হলে তার দায় হামাসের নয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতি বার ইজ়রায়েল হামলা করে পণবন্দিদের মুক্ত করতে চায়, প্রতি বারা তাঁদের ফেরত নিয়ে যায় কফিনে।
পাল্টা ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর হুমকি, পণবন্দিদের দ্রুত মুক্তি না দিলে আরও বড় মূল্য চোকাতে হবে হামাসকে। তাঁর দাবি, প্রয়োজন হলে সমগ্র গাজ়া দখল করা হবে। তাঁর কথায়, “হামাস যত পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করবে, তত চাপ সৃষ্টি করব আমরা।”
এ দিকে মঙ্গলবার এলকানা বোহবত নামের এক পণবন্দির মা রুহমানা অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে সরকারের তরফে কেউ কোনও কথা বলছে না। তিনি অনিশ্চয়তার অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছেন। তার পরেই বুধবার নেতানিয়াহু তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। কথায় যোগ দিয়েছিলেন এলকানার দুই ভাইও।
গত ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে ইজ়রায়েলি হানায় বিধ্বস্ত গাজ়া। এরই মধ্যে উত্তর গাজ়ার বেত লাহিয়াতে দেখা গেল যুদ্ধবিরোধী মিছিল। সেখানে অনেকেই হামাস বিরোধী স্লোগান দিলেন। তাঁদের দাবি, বার বার হামলায় তাঁরা ক্লান্ত। শান্তিতে থাকতে চান।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)